পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ৮ এপ্রিল দেশি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বিঞ্জে মুক্তি পেয়েছে সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘ব্যাচ ২০০৩’।
সিনেমায় বিস্ফোরণের একটি দৃশ্যে অভিনয় করেছেন সজল ও নওশাবা। সেই দৃশ্য নিয়ে বলতে গিয়ে তারা দুজন জানালেন, ‘শুটিংয়ের সময় দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারতাম।’
ছবির একটি দৃশ্যে তাদের দুজনকে দেখা যায় একটি স্কুলের সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে। সেখানেই গল্পের প্রয়োজনে আগুন লাগানোর একটা বিষয় ছিল।
সেই দৃশ্যের প্রসঙ্গ টেনে নওশাবা বলেন, ‘সজল এখানে অ্যান্টাগনিস্ট একটা চরিত্র করছে। আমার কাজ ছিল একটা তরল মেডিসিন ছুড়ে মেরে টেবিলের ওপর আগুন ধরিয়ে ফেলা। কিন্তু সম্ভবত টেবিলের ওপর কেমিক্যাল বেশি পড়ে গিয়েছিল বা আমার ছুড়ে মারায় কোনো সমস্যা ছিল। তাই মুহূর্তেই আমার আর সজলের সামনে অনেক উঁচু হয়ে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে ওঠে।’
‘আগুনের আঁচে একের পর এক বিকার ফাটা শুরু করে। প্রচণ্ড তাপ এসে লাগছিল গায়ে। খুব ভয় পেয়েছিলাম। এই শটে বেশ কিছু চুল পুড়ে যায় আমার। কিন্তু পরিচালক ও চিত্রগ্রাহক কেউই ক্যামেরা বন্ধ করেননি।’
সেই দৃশ্যের শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে সজল বলেন, ‘সায়েন্স ল্যাবরেটরি এমনিতেই অনেক ঝুঁকিপূর্ণ, তার ওপর বিস্ফোরণের দৃশ্য। যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেই শট নিয়েছেন পরিচালক। কিন্তু তারপরও হুট করে আগুন এত লাফিয়ে ওঠে যে আমার ভ্রু পুড়ে গেছে বেশ খানিকটা। কিন্তু এরপরেও শট কাটা হয়নি।’
‘এমন পরিস্থিতেও শট না কাটার প্রসঙ্গ টেনে সজল বলেন, চিত্রগ্রাহক এবং পরিচালক দুজনই ক্যামেরা চালাচ্ছিলেন। কারণ, এ ধরনের শট বারবার টেক দেবার সুযোগ নেই। তাই যত সমস্যাই হোক না কেন দুজনের কেউই রোল কাটেননি।’
পরিচালক পার্থ সরকার জানালেন, ‘আমরা যথেষ্ট সাবধানতা অবলম্বন করেই শুটিং করছিলাম। পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ-ব্যবস্থাও ছিল। বড় কোনো দুর্ঘটনা সে কারণে ঘটেনি। শট শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণকারী দল এসে আগুন নিভিয়ে ফেলে।’
রাফায়েল আহসানের গল্প থেকে চিত্রনাট্য এবং সংলাপও লিখেছেন পার্থ সরকার। এতে আরও অভিনয় করেছেন, শিপন, তাসনূভা তিশা, ক্রিস্টিয়ানো তন্ময়, মৌসুম, আনিকা তাবাসসুম, তাইফসহ অনেকে।