বিশ্বখ্যাত সিনেমা প্রযোজন প্রতিষ্ঠান ওয়ার্নার ব্রাদার্স ও লেজেন্ডারি এনটারটেইনমেন্ট যেন একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে। করোনাকালের মধ্যে সিনেমার খারাপ ব্যবসা নিয়ে যখন সবাই মাথা ঠুকছেন তখন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান দুটি দেখেছে মুনাফা।
তাদের নতুন সিনেমা গডজিলা ভার্সেস কং করোনাকালের সবচেয়ে বেশি আয়ের রেকর্ড করে ফেলেছে এক সপ্তাহেই। ২৪ মার্চ সিনেমাটি বিভিন্ন দেশে মুক্তি পায়। বাংলাদেশের স্টার সিনেপ্লেক্সেও মুক্তি পায় সিনেমাটি।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসার পর অনেক দেশেই খুলে দেয়া হয়েছে সিনেমা হল। শুধু উত্তর আমেরিকার ৩ হাজার ৬৪টি সিনেমা হলে প্রদর্শিত হচ্ছে গডজিলা ভার্সেস কং। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এটাই সবেচেয়ে বেশি প্রেক্ষাগৃহে চলা সিনেমা।
প্রথম পাঁচ দিনে গডজিলা ভার্সেস কং সিনেমার আয় ৪৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। যা মহামারিকালের সবচেয়ে বেশি আয়। এর ঠিক পরের স্থানেই আছে ওয়ান্ডার ওম্যান ১৯৮৪। প্রথম দিন সিনেমাটির আয় ছিল ১৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন ডলার। ১৪ মিলিয়ন ডলার নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে সিনেমা টম অ্যান্ড জেরি।
বিনোদন ও সংস্কৃতি বিষয়ে নামকরা ম্যাগাজিন ভ্যারাইটি জানিয়েছে, অনেকেই মনে করছেন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে দর্শকরা নেটফ্লিক্সে সিনেমা দেখতে দেখতে ক্লান্ত হয়ে উঠেছেন। তাই তারা এখন প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখতে চাইছেন।
গডজিলা ভার্সেস কং সিনেমার দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত
সিনেমাটি দেখা যাচ্ছে ভিডিও অন ডিমান্ড প্ল্যাটফর্ম এইচববিও ম্যাক্সে। এই মাধ্যমেও অনলাইন প্ল্যাটফর্মটির সবচেয়ে বেশি দেখা কনটেন্ট হয়ে উঠেছে গডজিলা ভার্সেস কং।
কোনো পরিসংখ্যান প্রকাশ না করলেও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, এইচবিও ম্যাক্সের অন্য যেকোনো ভিডিওর চেয়ে গডজিলা ভার্সেস কং সিনেমাটি বেশি দেখা কনটেন্ট। কানাডা, যেখানে শতভাগ মার্কেটই বন্ধ, সেখানেও সিনেমাটি নিয়ে চর্চা চলছে।
অনলাইনে সিনেমাটি দেখেছে ৩ মিলিয়ন মানুষ। সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন অ্যাডাম উইনগার্ড।