সারা দেশে সোমবার থেকে এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন ঘোষণা করছে সরকার। শনিবার রাতে লকডাউন নিয়ে বিস্তারিত জানাবে সরকার।
সরকারের পক্ষ থেকে নাটক-সিনেমার শুটিং ও প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের নির্দেশ থাকলে সবাই তা পালন করতে বাধ্য থাকবে। তবে যদি সরকারি নির্দেশে এমন কোনো কথা না বলা থাকে তাহলে শুটিং ও প্রেক্ষাগৃহ সিমিত আকারে চলতে পারে।
নিউজবাংলার সঙ্গে আলাপকালে চলচ্চিত্র প্রযোজক নেতা, চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতি, অভিনয়শিল্পী সংঘ ও টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়।
প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু বলেন, ‘প্রযোজকদের পক্ষ থেকে সিনেমার শুটিং বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। পরিচালক সমিতি নির্বাচন শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। নতুন কমিটি দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। তবে সরকার যদি বলে, তাহলে তো আর কারো কিছু বলার থাকবে না।’
নাটকের অভিনয়শিল্পীদের সংগঠন অভিনয়শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম একই রকম কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশন, ডিরেক্টর্স গিল্ড, অ্যাক্টর্স ইকিউটি ও নাট্যকার সংঘ মিলে দুই দিন আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার জন্য কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এখন তো সরকার লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে শুটিং হবে নাকি বন্ধ থাকবে তা এখনই বলতে পারছি না।’
টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইরেশ যাকের বিষয়টি পরিস্কার করেছেন তার বক্তব্যে।
তিনি বলেন, ‘কাজের সঙ্গে তো রুটি-রুজি জড়িত। তাই হুট করে আমি বা আমরা শুটিং বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পাড়ছি না। সরকারের নির্দেশনা মেনে আমরা আগাব। এখনই কিছু বলতে পারছি না।’
একই রকম কথা বলেছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল। তিনি বলেন, ‘সরকারের নির্দেশ মতো আমরা কাজ করব। তকে হল বন্ধ রাখার কোনো নির্দেশ বিকাল পর্যন্ত পাইনি।’
৫ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে লকডাউন চলবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত। রোজা শুরু হবে ১৪ এপ্রিল থেকে। রমজানের এক মাস সব সিনেমা হল এমনিতেই বন্ধ থাকবে।