দেড় বছরের অপেক্ষা শেষ হতে যাচ্ছে। যদি কিন্তু তবুও সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ১ এপ্রিল; ভারতীয় ওয়েব প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভে। নানা কারণে সিনেমাটি অন্যরকম।
যার মধ্যে অন্যতম কারণ হলো, নুসরাত ফারিয়ার প্রথম ওয়েবে কাজ করা। আরেকটি কারণ হলো, অপূর্ব ও নুসরাত ফারিয়ার জুটি হয়ে এটি প্রথম কাজ।
পরিচালক খুব মজা করে কারণটি জানিয়েছেন- ‘অভিনেতা অপূর্বকে অনেক অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম করতে দেখেছেন। কিন্তু ফারিয়ার সঙ্গে প্রেম করতে দেখেননি।’
মঙ্গলবার দুপুরে জি ফাইভের আয়োজনে একটি ওয়েবিনারের আয়োজন করা হয়। সেখানে পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা তাদের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
অপূর্বকে নাটকের হার্টথ্রব বলেন অনেকে। এবার নাকি আরও অনেক হার্ট এসে জমা হবে তার কাছে। হার্টের মালা পরে অপূর্বকে কেমন লাগবে? সঞ্চালক সে কথা বলতেই হাসির রোল পরে ওয়েবিনারে।
অপূর্ব বলেন, ‘এই কনটেন্টে আমি হলাম বিস্ট আর ফারিয়া হলো বিউটি।’
এই কনটেন্টকে বলা হচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বিয়ের ইভেন্ট। আসলেই কি কাজটি তেমন হয়েছে?
উত্তরে অপূর্ব বলেন, ‘আমি যখন সেটে ঢুকি তখনই মুখ দিয়ে বের হয়েছে ‘‘ওয়াও’‘। অনেক জাঁকজমক আয়োজনে কাজটি করা হয়েছে। দেখলেই বিষয়টি বোঝা যাবে।’
নুসরাত ফারিয়ার কাছে যদি কিন্তু তবুও একটি কোভিড-জয়ী সিনেমা। এতে প্রীতি চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
অভিজ্ঞতা বলতে গিয়ে ফারিয়া জানালেন, ১৮ কেজি ওজনের লেহেঙ্গা পরে দৌড়াতে হয়েছে তাকে।
‘যদি কিন্তু তবুও’ ওয়েব ফিল্মে নুসরাত ফারিয়া
এ কথা শুনে অপূর্বর কাউন্টার, ‘যদি কিন্তু তবুওকে বলা হচ্ছে দ্য বিগেস্ট ওয়েডিং ইন দ্য কান্ট্রি। কিন্তু এখন তো মনে হচ্ছে, এটা দ্য হেভিয়েস্ট ওয়েডিং ইন দ্য কান্ট্রি।’
সিনেমায় ফারিয়া গানও গেয়েছেন। ওয়েবিনারে সেটির কিছু অংশ গেয়ে শোনান এই অভিনেত্রী। তার সঙ্গে কণ্ঠ মেলান অপূর্ব। সিনেমায় তিনি আবীর চরিত্রে অভিনয় করছেন।
কনটেন্টের ট্রেলারও দেখানো হয় ওয়েবিনারে।
পরিচালক শিহাব শাহীনের ভালোও লাগছে আবার একটু নার্ভাসও লাগছে। দেড় বছরের পরিশ্রম সবাইকে দেখাতে পারবেন বলে সবচেয়ে আনন্দিত তিনি।
পরিচালক বলেন, ‘সিনেমাটি ১৯০ দেশে মুক্তি পাচ্ছে। এর চেয়ে বেশি আনন্দের আর কী হতে পারে?’
ওয়েবিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন এ ওয়েব ফিল্মের অভিনেতা আমান খান ও ইমতু।