কলকাতায় নির্বাচনে নানা ঘটনা চলছে। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ, ক্ষমতার হুঙ্কার ছাড়াও বিভিন্ন ঘটনায় চলছে হাস্যরস ও সমালোচনা।
তৃণমূল থেকে কলকাতার সিনেমাপাড়ার অনেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবার। তাদের মধ্যে মেদিনীপুর বিধানসভা কেন্দ্রে লড়ছেন অভিনেত্রী জুন মালিয়া।
সম্প্রতি জুনের একটি হোয়াটস অ্যাপ মেসেজ নিয়ে চলছে সমালোচনা। তবে এটি যে তার লেখাই মেসেজ তা নিশ্চিত করেনি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম।
কলকাতায় প্রথম দফার ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। নির্বাচনের আগে প্রচারে ভালোভাবেই দেখা গেছে জুনকে। কিন্তু ভোট শেষে কর্মী ও সাংবাদিকদের নিয়ে তৈরি একটি হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। যাচাই না করা সেই হোয়াটস অ্যাপ মেসেজে তেমনটাই উল্লেখ আছে।
অনলাইনে লিক হওয়া সেই স্ক্রিনশটে জুন লিখেছেন, ‘প্রচারের উদ্দেশ্যে এই গ্রুপ তৈরি করা হয়েছিল, নির্বাচন শেষ তাই গ্রুপটির আর প্রয়োজন নেই। তাই এটি বন্ধ করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’
স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে। বিজেপির পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সহ-সভাপতি শুভজিৎ রায় বলেন, ‘উনি বুদ্ধিমতীর মতো কাজ করেছেন। উনি মেদিনীপুরে ভোট দাঁড়াতে এসেছিলেন, রাজনীতি করতে নয়। ভোট শেষ হয়েছে। হার নিশ্চিত বুঝতে পেরেছেন। এখন আর গ্রুপের দরকার কী? উনি যদি জেতার এক শতাংশও আশা রাখতেন, তাহলে অন্তত গণনার দিন পর্যন্ত গ্রুপ রাখতেন।’
বসিরহাটে তৃণমূলের নির্বাচনি প্রচারে নুসরাত জাহান। ছবি: সংগৃহীত
অন্যদিকে রোববার আরেক ঘটনা ঘটিয়েছেন তৃণমূলের সাংসদ নুসরাত জাহান। তৃণমূলের আরেক প্রার্থী নারায়ণ গোস্বামীর হয়ে ভোট চাইতে গিয়েছিলেন বসিরহাটে। ছাদ খোলা জিপে প্রার্থীকে নিয়ে নুসরাত প্রচার করছিলেন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে।
হঠাৎ করে প্রচারের গাড়ি থেকে নেমে যান তিনি। নামার সময় যে বাক্যটি বলেন, সেটিই হয়ে যায় বিজেপির তুরুপের তাস।
ভিডিওতে নুসরাতকে বলতে শোনা যায়, ‘এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে প্রচারণা করছি। মুখ্যমন্ত্রীর জন্যও এটা করি না।’ নুসরাতকে আরও কিছু সময় প্রচারণা করার জন্য অনুরোধ করলে, রেগে গিয়ে এই মন্তব্য করেন তিনি।
আর এই ভিডিওটি টুইটারে পোস্ট করে অট্টহাসির ইমোজি দিয়েছে বিজেপি বাংলা।