ইতালির সবচেয়ে বিখ্যাত গানগুলোর একটি ‘বেলা চাও’। এটি মূলত ইতালিয়ান ফোক গান। কিন্তু ফ্যাসিবাদ ও শোষণ বিরোধী গান হিসেবে দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আন্দোলন কর্মীদের মধ্যে জনপ্রিয়তা পেয়েছে গানটি। হয়ে উঠেছে প্রতিবাদ আর মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসার গান।
বিশ্বের বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে এটি। গানটিকে নিজেদের মতো করে গেয়েছেন বিভিন্ন দেশের শিল্পীরা। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশেও দুই একজন গেয়েছেন গানটি। তবে স্টুডিও রেকডিং করেনি কেউ।
এবার বাংলাদেশেও গানটি নিজেদের মতো ভাবান্তর করে স্টুডিও রেকর্ড করলেন লেখক ও সংগীত শিল্পী শতাব্দী ভব এবং সাবেক ছাত্র নেতা ও অ্যাক্টিভিস্ট লাকী আক্তার।
তারা ‘বেলা চাও’ গানটির বাংলা শিরোনাম দিয়েছে ‘বিপ্লবের ফুল’।
লাকী আক্তার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গানটির দারুণ একটা ভাবান্তর করেছেন ভব দা। গানটি অনেক পুরোনো কিন্তু বিশ্বব্যাপী ফ্যাসিবাদ ও শোষণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের হাতিয়ার হিসেবে সাম্প্রতিক সময়ে আবারও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে গানটি। বলতে পারেন আমরাও আমাদের লড়াইয়ের অংশ হিসেবে গানটির বাংলা রেকর্ড রাখলাম।’
লাকী জানান, গানটি ২৫ মার্চ সন্ধ্যা ৭টায় ইউটিউব চ্যানেল ভব স্টেশনে প্রকাশ করেছেন তারা।
ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে দেখা যায় গানটি এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক কমেন্ট ও প্রায় সাড়ে ৫ হাজার বার শোনা হয়েছে। প্রায় প্রত্যেকটি কমেন্টে গানের প্রতি মুগ্ধতা প্রকাশ করেছে দর্শক-শ্রোতারা।
মারিয়া নামের একজন কমেন্ট করেছেন, ‘বাংলা ভার্সনটা শুনে গায়ের লোম খাড়া হয়ে গেছে। যদিও এই গানের অরিজিনাল ভার্সন অনেকবার শুনেছি কিন্তু এরকম ফিল হয়নি কখনও। বাংলা ভার্সন করার জন্য অনেক ধন্যবাদ এবং সত্যিই অসাধারণ হয়েছে। এগিয়ে যান, ইতিহাস হবে আপনাদের গাওয়া এই গান।’
অন্য একজন কমেন্ট করেছেন, ‘পর পর তিন বার শুনলাম গানটা এখনই। আমি কোনো ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না বলার মত। শুধু এটুকু বলতে পারি যে রক্তের মধ্যে যেন একটা ডাক দিয়ে গেল গানটা। অসাধারণ। বিপ্লবের ফুল চার দিকে এভাবেই ফুটে উঠুক।’ গানটি নিয়ে এ রকম অসংখ্য কমেন্ট করেছে শ্রোতারা।