বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মহামারির বছরে কেমন ছিলেন কৃতি

  •    
  • ২০ মার্চ, ২০২১ ১৩:৫৩

মানসিক অবস্থাকে সামলে নিয়ে বছরের শেষ ভাগে আবার কাজে ফিরতে পেরে খুশি ছিলেন কৃতি। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

২০১৯ সালের ডিসেম্বর। চীনের উহান থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। দ্রুতই তা প্রাণঘাতী রূপ নিয়ে পৌঁছে যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে। পরের বছরজুড়ে স্থবির হয়ে পড়ে গোটা পৃথিবী।

এ মহামারিতে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর পাশাপাশি তছনছ হয়ে যায় অনেকের জীবন। ব্যতিক্রম নন তারকারাও। করোনার বছর উলট-পালট করে দিয়েছে তাদের স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকেও।

করোনার মারাত্মক প্রভাব পড়া তারকাদের একজন কৃতি শ্যানন। মহামারির বছর ২০২০ সালকে জীবনের সবচেয়ে বাজে মুহূর্ত মনে করেন বলিউডের এ অভিনেত্রী।

সে সময়কার অভিজ্ঞতা টাইমস অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে শেয়ার করেছেন ‘হিরোপান্তি’র নায়িকা।

কৃতি বলেন, ‘সত্যি বলতে, ২০২০ মনে হয় আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ একটা বছর। আমার হাতে থাকলে বছরটা আমি ডিলিট করে দিতাম।’

কৃতির জন্য বছরটা ভালোভাবে শুরু হলেও লকডাউনের পর তা মানসিক ও শারীরিকভাবে দুর্বল করে দেয় কৃতিকে।

‘সিনেমার শুটিংয়ের ব্যস্ততা দিয়ে আমার বছরটা শুরু হয়। এরপর লকডাউন চলে আসে। আমি খুশি ছিলাম এ কারণ যে, সে সময়ে আমার মা-বাবা আমার সঙ্গে ছিলেন। তারা এক সপ্তাহের জন্য মুম্বাইতে আমাকে দেখতে এসেছিলেন। তার বদলে লকডাউনের কারণে প্রায় এক বছর আমার সঙ্গে ছিলেন। কাজটা খুব কঠিন হতো, যদি একা বাড়িতে থাকতে হতো’, বলেন বলিউডের জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী।

‘সে সময়ে আমি মানুষকে কিছুটা আনন্দ দেয়ার জন্য একটা ক্যাম্পেইনে অংশ নিয়েছিলাম এবং মিডিয়ার সঙ্গে অল্প কিছু যোগাযোগ রেখেছিলাম। তার পরই আমি এসব থেকে আলাদা হয়ে যাই ও শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচল থাকি’, যোগ করেন কৃতি।

কৃতি কথা বলেন সহকর্মী সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যু নিয়েও। লকডাউনের মধ্যেই ১৪ জুন নিজ বাসায় আত্মহত্যা করেন সুশান্ত।

কৃতি বলেন, ‘একটা সময় এ ঘটনা নিয়ে খুব শোরগোল হতে থাকে। আমি এর অংশ হতে চাইনি। মানুষের অনুভূতি কমে যাচ্ছিল একটা সময়; চারপাশের পরিবেশ খুব নেতিবাচক হয়ে উঠল। আমি সেই নেতিবাচক পরিস্থিতির মধ্যে নিজেকে জড়াতে চাইনি।

‘আমি জানি সে ঘটনা নিয়ে আমার মধ্যে কী অনুভূতি ছিল এবং আমি সেটা নিজের মধ্যে রাখতে চেয়েছি। আমি কী ভাবছি, তা নিয়ে অন্য কারও সঙ্গে কথা বলা প্রয়োজন মনে করিনি।’

মানসিক অবস্থাকে সামলে নিয়ে বছরের শেষ ভাগে আবার কাজে ফিরতে পেরে খুশি ছিলেন কৃতি। তবে গত বছরের ডিসেম্বরে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।

তিনি বলেন, ‘১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে নিজের ঘরে একা থাকা সবচেয়ে কঠিন কাজ। এটা আপনাকে বদলে দেয়।

‘ভাগ্য ভালো যে, আমি নিজের ঘরে ছিলাম তখন। সিনেমার শুটিংও শেষ হয়েছিল; শুটিংয়ের মাঝে আমি অসুস্থ হয়ে পড়িনি।’

কৃতি সময় পেলে লেখালেখিও করেন। কবিতা লিখে এসেছেন এতদিন ধরে। ২০২০ থেকে জার্নাল লেখার অভ্যাসও চর্চা করেন।

কৃতি বলেন, ‘২০২০ থেকে আমি জার্নাল লেখা শুরু করি। যেসব বিষয় নিয়ে আমি কৃতজ্ঞ, সেগুলো নিয়েই লিখি। কিন্তু পরে দেখলাম, সেটা খুব বেশি ভালো লাগছে না। তাই এ বছর জানুয়ারি থেকে পাঁচ বছরের জার্নাল শুরু করি, যেখানে আমার প্রতিদিনের কিছু ঘটনা লিখে রাখি।

‘প্রতিদিন রাতে দুই মিনিটের জন্য সারাদিন কেমন কাটল বা নিজের কিছু ভাবনা তাতে টুকে রাখি। আগামী বছর আজকের দিনে কী লিখেছিলাম তা পড়তে ভালোই লাগবে। স্মৃতিগুলো আগলে রাখা আরকি।’

এ বিভাগের আরো খবর