সুলতানা’স ড্রিম প্ল্যাটফর্মে সুযোগ পেয়েছেন ১৬ নারী নির্মাতা। আগামী একমাস এই এই ১৬ জন অংশ নেবেন একটি কর্মশালায়। সেখান থেকে সুলতানা’স ড্রিমের প্রযোজনায় ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স শিরোনামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য অনুদান পাবেন তিনজন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়।
শতাধিক প্রতিযোগীর মধ্য থেকে ১৬ জন নির্মাতাকে বেছে নেয়ার অনলাইন আয়োজনটি সঞ্চলানা করেন অভিনয়শিল্পী নভেরা রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্র সমালোচক ও সাংবাদিক সাদিয়া খালেদ ঋতি এবং গ্যেটে ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের পরিচালক ক্রিশ্টান হ্যাকেনব্রোক।
আয়োজনের উদ্যোক্তা চলচ্চিত্র নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন উপস্থিত থেকে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। পাশাপাশি তিনি ঘোষণা করেন কর্মশালায় অংশ নিতে যাওয়া ১৬ প্রতিযোগীর নাম।
তারা হলেন- লাবনী আশরাফ, আতশী কর্মকার, ফাতিহা তাইরা, জাহারা নাজিফা নোভা, নুসরাত জাহান ইশাত, ফারাহ জলিল, আফ্রিদা মেহজাবীন, ফারিয়া বেগম রাইয়া, ফাজানা নূর, নেহা শামীম, ফারিয়া মানার, মনন মুনতাকা, মাহমুদা আক্তার মনিশা, প্রাচিতা অহনা আলম, তিজাইয়া থমাস এবং মো. শিহাব।
আয়োজন প্রসঙ্গে রুবাইয়াত হোসেন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের উন্নয়নে আরও মেয়েদের চলচ্চিত্র নির্মণে এগিয়ে আসা উচিত। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া প্রতিটি গল্প পড়ে আমি মুগ্ধ। প্রতিটি গল্পই ছিল গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রতিটি গল্পই বলা জরুরি।’
আয়োজনের সহ-আয়োজক হিসেবে আছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান খনা টকিজ। পরিবেশকের দায়িত্বে আছে গ্যেটে ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রগুলো দেশব্যাপী প্রদর্শিত হবে।
দক্ষিণ এশিয়ায় নারী শিক্ষার অগ্রদূত বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের একটি গল্পের নাম সুলতানা’স ড্রিম। এটি ১৯০২ সালে লেখাটি প্রকাশিত হয় দ্য ইন্ডিয়ান লেডিস ম্যাগাজিনে। যেখানে তার কল্পনার জগতে ছেলেরা অন্দর মহলে অবস্থান করে বিধায় মেয়েরা কোন ভয় এবং সংকোচ ছাড়াই বাইরের জগতে বিচরণ করতে পারে।
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এমন একটি ক্ষেত্র তৈরি করতে চায় যেখানে মেয়েরা নিজেদের সঙ্গে বা আশপাশে ঘটে যাওয়া সহিংসতার ঘটনাগুলো কোনো রকম সংকোচ ছাড়াই জনসম্মুখে তুলে ধরতে পারবে।