শান্তি ও সাম্যের পরিবেশ কে না চায়। যেখানে ভয়, ভীতি ও দুর্বল থাকবে নির্ভয়ে; বন্ধনের কারাগার হবে চুরমার; দুঃখ, দৈন্য, গ্লানি, বিদ্বেষ হয়ে থাকবে অহেতুক হয়ে।
শাশ্বত এই কথাগুলো অর্ধশত বছর আগে লিখে গেছেন জাতীয় কবি কাজি নজরুল ইসলাম। ‘জয় হোক’ শিরোনামের গানে পাওয়া যায় কথাগুলো। গানটির আবেদন যেন সমসময়ের। তাই তো এখনও গানটি গাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন শিল্পীরা।
সম্প্রতি নজরুলের এই গানটি গেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী সুস্মিতা আনিস। নতুন করে এর সংগীতায়োজন করেছেন অর্ণব। এর মিউজিক্যাল ফিল্ম নির্মাণ করেছেন পিপলু আর খান। আর এতে মডেল হয়েছেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন।
মিউজিক্যাল ফিল্মের কিছু দৃশ্য দেখে ধারণা করা যায় যে, প্রতীকী রূপে চিত্রায়িত করা হয়েছে গানটি।
নিউজবাংলাকে বাঁধন বলেন, ‘জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের দর্শন ও ভাবনার গভীরতা সম্পর্কে আমার তেমন জানা ছিল না। এই গানটির কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। বিষয়গুলো আমাকে ছুঁয়ে গেছে। আমি চাই গানটির মর্মকথা সবখানে পৌঁছে যাক।’
সাধারণ লুকে বাঁধন (বাঁয়ে), মিউজিক্যাল ফিল্মের দৃশ্যে তিনি। ছবি: সংগৃহীত
তিনি আরও বলেন, ‘বেশ কিছু ক্ষেত্রে নারীর প্রতি সমাজের যে বাঁকা দৃষ্টিভঙ্গি, কিছু অসংগতি, একটা দম বন্ধ হওয়া অবস্থা, ভয়, অধিকার হননের চেষ্টাকে আমরা দৃশ্যকাব্যে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।’
এমন কাজ টাকা বা জনপ্রিয়তার জন্য নয় বরং নারীর প্রতি সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি যেন সরল হয়, সুন্দর হয়, সে জন্যই কাজটি করেছেন বলে জানান বাঁধন।
জয় হোক গানের মিউজিক্যাল ফিল্মে বাঁধন। ছবি: সংগৃহীত
বান্দরবনে হয়েছে মিউজিক্যাল ফিল্মটির দৃশ্যধারণ। বান্দরবনের থানচি থেকে তিন ঘণ্টা বোটে চেপে যেতে হয় রিমাক্রিতে। সেখানে হয়েছে শুটিং। এর জন্য দুই দিন সাঙ্গু নদীতে থাকতে হয়েছে বাঁধনকে।
গত ২৬ ও ২৭ ফেব্রুয়ারি কাজটি করে ১ মার্চ ঢাকায় ফিরেছেন বাঁধন। গানটি প্রকাশ পাবে ২৬ মার্চ।