জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার জীবনকে অবলম্বন করে নির্মিত হয়েছে টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই সিনেমা। সিনেমাটি এখনও পায়নি সেন্সর ছাড়পত্র।
সিনেমাটি ছাড়পত্র পাবে কি না, তা জানা যাবে ‘উপর মহল’ সিনেমাটি দেখার পর।
নিউজবাংলাকে বিষয়টি জানিয়েছেন সেন্সর বোর্ডের সচিব মো. মমিনুল হক বলেন, ‘সেন্সর বোর্ড সদস্যরা সিনেমাটি দেখেছে। আমরা এখনও সিনেমাটিকে ছাড়পত্র দেইনি। সার্টিফিকেট এখনও ইস্যু হয়নি।’
সিনেমাটি ১২ মার্চ মুক্তি পাবে, এমন তথ্য দিচ্ছেন টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই সংশ্লিষ্টরা। তারা এই কথা কেন বলেছে জানতে চাইলে সচিব বলেন, ‘তারা কেন ও কীভাবে বলছে তা বলতে পারছি না। কিন্তু আমরা এখনও সিনেমাটির ছাড়পত্র দেইনি।’
সিনেমার বিষয়বস্তু স্পর্শকাতর হওয়ায় তথ্য মন্ত্রণালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সিনেমাটি দেখার প্রয়োজন আছে বলে মনে করে সেন্সর বোর্ড।
টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই সিনেমার পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত
নিউজবাংলাকে বোর্ডের সচিব মো. মমিনুল হক বলেন, ‘তথ্যমন্ত্রীসহ উপর মহল সিনেমাটি দেখবেন। এরই মধ্যে সিনেমাটি তাদের দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। সিনেমাটি তারা দেখার পর জানা যাবে সেন্সর ছাড়পত্র পাবে কি না।’
টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই পরিচালনা করেছেন সেলিম খান। এর চিত্রনাট্য করেছেন শামীম আহমেদ রনি।
শুরুতে রনি জানিয়েছিলেন, সিনেমাটি তিনিই পরিচালনা করবেন। পরে পরিচালকের জায়গায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান শাপলা মিডিয়ার কর্ণধার সেলিম খানের নাম ব্যবহার করা হয়।
শান্ত খান ও দীঘি। ছবি: সংগৃহীত
সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর তরুণ বয়সের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রযোজক সেলিম খানের ছেলে শান্ত খান। আর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছার চরিত্রে আছেন দীঘি।
সিনেমা মুক্তি দিতে চাইলে প্রয়োজনীয় বা পছন্দের তারিখটি চেয়ে আবেদন করতে হয় প্রযোজক পরিবেশক সমিতিতে। কিন্তু প্রযোজক পরিবেশক সমিতি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছে যে, এখন পর্যন্ত টুঙ্গিপাড়ার মিয়া ভাই সিনেমাটি মুক্তির জন্য তারিখ চেয়ে কোনো আবেদন জমা পরেনি।