বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রেক্ষাগৃহে সর্বোচ্চ ঋণ ৫ কোটি, অনুদানের ছবি মুক্তি কমপক্ষে ১০ হলে

  •    
  • ১ মার্চ, ২০২১ ১৬:২৭

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছিলাম একজন ভোক্তাকে একটি হলের জন্য ৫ কোটি টাকার বেশি না দেয়ার জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের অনুরোধ রেখেছে।’

সিনেমা হল রক্ষায় প্রণোদনা দেবে সরকার। এর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে গঠন করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকার বিশেষ তহবিল।

আগামী এক বছরের মধ্যে অনেকগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালুর পাশাপাশি নতুন সিনেমা হল তৈরি হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সিনেমা হল নির্মাণ-সংস্কারে ব্যাংক ঋণ চালুর পরিপ্রেক্ষিতে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘৫০০ কোটি টাকার বিশেষ এ তহবিল হলো একটি প্রণোদনা প্যাকেজ বা লোন। তফসিলি ব্যাংকের মাধ্যমে এ লোন বিতরণ করা হবে।

‘এখানে বাংলাদেশ ব্যাংক স্বল্প সুদে ও সার্ভিস চার্জে অর্থ সিডিউল ব্যাংকে দেবে। তখন সিডিউল ব্যাংক এর সঙ্গে তাদের পরিচালনা ব্যয় যুক্ত করে জেলা শহর ও উপজেলায় সাড়ে ৪ শতাংশ সুদে ভোক্তাদের কাছে ঋণ বিতরণ করবে।’

ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরে সুদের হার ৫ শতাংশ হবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আট বছর মেয়াদে এক বছরের গ্রেজ প্রিয়ডে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। প্রাথমিকভাবে ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চাহিদার ভিত্তিতে প্রয়োজনে দেড় হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত তহবিল বৃদ্ধি করতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখান থেকে ঋণ শুধু তারাই পাবে যারা সিনেমা হল সংস্কার, বন্ধ সিনেমা হল পুনরায় চালু করতে চান, অথবা নতুন সিনেমা হল বানাতে চান। একই সঙ্গে মার্কেটের ভিতরে যদি কেউ সিনেপ্লেক্স করতে চান, তাকে এ ঋণ দেয়া হবে।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এ ধরনের প্যাকেজ ঘোষণা করার পর বড় বড় ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীরা অনেকেই বেশি ঋণ নিয়ে নেন। তখন যারা ছোট ঋণ নিতে চান তারা পান না। তাই আমরা বাংলাদেশ ব্যাংককে অনুরোধ জানিয়েছিলাম একজন ভোক্তাকে একটি হলের জন্য ৫ কোটি টাকার বেশি না দেয়ার জন্য। বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের অনুরোধ রেখেছে।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কেউ টিনের ঘর তুলে ঋণ নেবে সেটা হবে না। আমরা সে বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক দৃষ্টি রাখব। এই ঋণ খুব শিগগিরই কার্যকর হবে। এরই মধ্যে সমস্ত তফসিলি ব্যাংকে চিঠি চলে গেছে। যে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুবিধা নিয়ে ভোক্তাদের কাছে এ ঋণ দিতে পারবে, তারা জানানোর পরপরই সেসব ব্যাংকে আবেদন করে এ ঋণ নেয়া যাবে।’

তিনি বলেন, ‘আশা করি, এটি হলে অনেক বন্ধ হয়ে যাওয়া সিনেমা হল চালু হবে। বেশির ভাগ সিনেমা হলের আধুনিকায়ন প্রয়োজন, কারণ মানুষের রুচির পরিবর্তন হয়ে গেছে। তার সঙ্গে মানিয়ে সিনেমা হল সাজাতে হবে। তা না হলে মানুষ প্রেক্ষাগৃহে যাবে না। সুতরাং আধুনিকায়নের জন্য এ ঋণসুবিধা কাজে লাগবে।’

চলচ্চিত্র অনুদাননির্ভর হয়ে চলতে পারে না জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিছু ভালো ছবির জন্য অনুদান দিই। আগে অনুদানের টাকা দিয়ে আর্ট ফিল্ম হতো। এখন বাণিজ্যিক সিনেমাও হচ্ছে। এর সঙ্গে কিছু শর্তও দেয়া হয়েছে, যেমন অনুদানের সিনেমা কমপক্ষে ১০টি হলে মুক্তি দিতে হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর