বঙ্গবন্ধু বায়োপিকে অভিনয় করছেন নুসরাত ফারিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তরুণ বয়সের চরিত্রে অভিনয় করছেন তিনি।
প্রথম লটের শুটিং শেষ করে তিনি সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন। মঙ্গলবার অপারেশন সুন্দরবন সিনেমার টিজার প্রকাশ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিনি। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন ‘বঙ্গবন্ধু’ সিনেমায় শুটিংয়ের কিছু অভিজ্ঞতার কথা।
নুসরাত ফারিয়া জানান, প্রথম লটের শুটিং শেষ হয়েছে। দেশে এসে ওয়েব সিনেমা যদি কিন্তু তবুওর শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। আবার চলে যাবেন। মুম্বাইতে খুবই ভালো কাজ হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘সবাইকে অনুরোধ করব একটু অপেক্ষা করার জন্য। বাংলাদেশের একটি জাতীয় সম্পদ তৈরি হচ্ছে।’
শুটিংয়ের ফাঁকে কীভাবে সময় কাটছে, জানতে চাইলে ফারিয়া বলেন, ‘আমি, তিশা আপু, শুভ; আমরা তো ফ্যামিলির মতো হয়ে গেছি। একই হোটেলে থাকছি। একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া করছি, একসঙ্গে সেটে যাচ্ছি।
‘আমাদের মধ্যে একটা পারিবারিক সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে। একে অপরকে অন স্ত্রিন এবং অফ স্ক্রিনে যতটা পারছি সাহায্য করছি। এক্সপেরিয়েন্স খুবই ভালো।’
সিনেমায় তিশা অভিনয় করছেন বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছার চরিত্রে। সেই হিসেবে সিনেমায় ফারিয়া হচ্ছেন তিশার মেয়ে। তাদের রসায়নটা নিয়ে বলতে গিয়ে ফারিয়া জানান, সত্যিকার অর্থেই তিশা একজন মা।
ফারিয়া বলেন, ‘ঘুম থেকে ওঠার পর থেকেই তিশা আমাকে ব্রেকফাস্টে নিয়ে যায়, লাঞ্চে নিয়ে যায়, ডিনারে নিয়ে যায়। মা আমার সঙ্গে থাকলে যা করত, তিশা তাই করছে আমার জন্য।’
সম্প্রতি তিশা ও ফারিয়ার কিছু ছবি প্রকাশ পেয়েছে ফেসবুকে। যেখানে দেখা যাচ্ছে তিশার চুল আঁচড়িয়ে দিচ্ছেন ফারিয়া।
ছবিটি নিয়ে ফারিয়া বলেন, ‘তিশার আপুর সঙ্গে এটাই আমার প্রথম কাজ। কাছ থেকে একে অপরকে দেখার ও জানার সুযোগ পেয়েছি।
‘সেদিন ওর জন্মদিন ছিল। ওখানে তো এত কাজের মধ্যে কোনো উপহার বা সারপ্রাইজ দিতে পারছিলাম না। তাই বললাম যে, চলো তোমার চুলটা বেঁধে দেই। ওটাই ছিল আমার পক্ষ থেকে তিশাকে জন্মদিনের উপহার।’
এপ্রিলে শেষ হবে সিনেমার মুম্বাই অংশের শুটিং। সেপ্টেম্বর থেকে বাংলাদেশে হবে সিনেমার দৃশ্যধারণ।