গল্পটা অনেকেরই জানা। তিনি উপমহাদেশের প্রথম চলচ্চিত্র নির্মাতা, তার হাতেই প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মিত হয়। কিন্তু হীরালাল সেনের আরও অনেক ইতিহাস ও গল্প আজও অজানা। সেই গল্পগুলোই হয়তো এবার ধরা দিতে যাচ্ছে দৃশ্য হয়ে।
হীরালাল সেনের বায়োপিক নির্মাণ করেছেন কলকাতার অরুণ রায়। প্রকাশ পেয়েছে সিনেমার ট্রেলার। আর তাতেই উঠে এল বিভিন্ন ঘটনার ইঙ্গিত।
হীরালাল সেনের জন্ম বাংলাদেশের মানিকগঞ্জে, তবে তার বেড়ে ওঠা কলকাতায়। চলমান চিত্র বা চলচ্চিত্রে তিনি আকৃষ্ট হন স্টিফেনসনস বায়োস্কোপ দেখে।
পর্দায় ট্রেন আসা দেখে পালিয়ে যাওয়া, নদীর পারে নারীর গোসল করার দৃশ্য দেখে নারী দর্শকের লজ্জা পাওয়া, বিপ্লব-বিদ্রোহ সবই পাওয়া গেছে ট্রেলারে। এমনকী সিনেমা পরিবেশনা নিয়ে সমস্যাও দেখানো হয়েছে।
উপমহাদেশের প্রথম বিজ্ঞাপন নির্মাতা হীরালাল সেন এমনকি রাজনৈতিক সিনেমাও প্রথম নির্মিত হয় তার হাতেই। বিষয়গুলো স্পষ্ট করা হয়েছে ট্রেলারে।
হীরালাল সেনের সিনেমা দেখানোর প্রতিষ্ঠান রয়েল বায়োস্কোপ কোম্পানি। ছবি: সংগৃহীত
ট্রেলারের শেষ দিকে হীরালাল সেনের কণ্ঠে শোনা যায়, ‘বাজারে ছবি অনেকেই তোলে, কিন্তু হিরালাল সেন একজনই। নামটা মনে রাখবেন।’
সিনেমায় হীরালাল সেনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন কিঞ্জল নন্দ। আরও আছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, অনুষ্কা চক্রবর্তী, শংকর চক্রবর্তী, অর্ণ মুখোপাধ্যায়, তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস, পার্থ সিনহা।
সিনেমার দৃশ্যে হীরালাল সেনের বানানো বিজ্ঞাপন। ছবি: সংগৃহীত
কলকাতায় সিনেমার পোস্টার ও ট্রেলার প্রকাশ অনুষ্ঠানে পরিচালক অরুণ রায় বলেন, ‘হীরালাল সিনেমাটি তার প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। প্রকৃত অর্থে ভারতীয় চলচ্চিত্রের জনক হীরালাল সেন। ১৯১৩ সালে দাদা সাহেব ফালকে রাজা হরিশচন্দ্র নির্মাণের প্রায় দশ বছর আগেই সিনেমা বানিয়েছেন হীরালাল সেন। বাঙালি দর্শকের জন্য এই ছবিটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ এমন একজন অসাধারণ বাঙালিকে ভুলতে বসেছি আমরা।’
সিনেমাটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে ৫ মার্চ।