দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থতায় থাকা বরেণ্য অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামান মারা গেছেন।
শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে পুরান ঢাকার নিজ বাসভবনে তার মৃত্যু হয়, বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।
নিউজবাংলাকে এটিএম শামসুজ্জামানের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
তিনি জানান, তার বাবা পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ার আজগর আলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। শুক্রবার রাতে তাকে বাসায় আনা হয়। শনিবার সকালে মৃত অবস্থায় দেখতে পান পরিবারের সদস্যরা।
কিংবদন্তি এই অভিনেতার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনেও।
অ্যাজমাজনিত শ্বাসকষ্ট নিয়ে গত বুধবার এটিএম শামসুজ্জামানকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এদিনই কোয়েল জানিয়েছিলেন, তার বাবার অবস্থা আগের তুলনায় ভালো। চিকিৎসকদের পরামর্শে শুক্রবার বাসায় নিয়ে আসা হয়।
এর আগে পরিপাকতন্ত্রে জটিলতার কারণে ২০১৯ সালের এপ্রিলে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল এটিএম শামসুজ্জামানকে।
পুরান ঢাকাতেই ১৯৪১ সালে জন্ম বরেণ্য এই অভিনেতার। চলচ্চিত্রে পা রাখেন ১৯৬৮ সালে, নারায়ণে ঘোষ মিতার ‘এতটুকু আশা’ সিনেমা দিয়ে।
এরপর আর পেছনে তাকাতে হয়নি এটিএম শামসুজ্জামানকে। চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয় করে গেছেন সমান তালে। পাঁচ দশকের বেশি সময়ের অভিনয় ক্যারিয়ারে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন পাঁচবার। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক, কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার হিসেবেও কাজ করেছেন এটিএম শামসুজ্জামান।
কখন দাফন
অভিনেতা এটিএম শামসুজ্জামানের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হবে নারিন্দায়। এরপর সূত্রাপুর জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে বাদ আসর তাকে দাফন করা হবে জুরাইন কবরস্থানে।
জানাজা ও দাফনের বিষয়টি নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন তার মেয়ে কোয়েল আহমেদ।
তিনি জানান, তার বাবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী নারিন্দার পীর সাহেব তার গোসলের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন। এরপর বাদ আসর জুরাইন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।