বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভালোবাসার ৫ সিনেমা

  •    
  • ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ ১৮:৩৯

সিনেমা বিকাশের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভালোবাসার বিচিত্র সব গল্প দেখতে মানুষ আশ্রয় নেয় মাধ্যমটির। বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জেনে নেয়া যাক এমন পাঁচটি রোমান্টিক সিনেমার গল্প।

ভালোবাসা শুধু একটা দিনে আবদ্ধ নয়। এ অনভূতি ছড়িয়ে থাকে মানুষের হাসিতে, শিল্পীর তুলিতে, সিনেমার পর্দা, কাল্পনিক চরিত্রেও। সিনেমা বিকাশের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ভালোবাসার বিচিত্র সব গল্প দেখতে মানুষ আশ্রয় নেয় মাধ্যমটির।

বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জেনে নেয়া যাক এমন পাঁচটি রোমান্টিক সিনেমার গল্প।

পোল্যান্ড: কোল্ড ওয়ার (২০১৮)

জীবন থেকে প্রেমিক বা প্রেমিকার অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে চলে যাওয়া মনের মধ্যে যে শূন্যতা তৈরি করে, তা পাওয়েল পাওলিকোউস্কি তুলে ধরেছেন তার কোল্ড ওয়ার সিনেমায়।

কাহিনিটি উইকটোর ও জুলার প্রেমের, যেখানে তারা সময়ে সময়ে মিলিত হয়েছেন। আবার একে অপরের থেকে দূরে সরে গিয়েছেন। জীবনের প্রয়োজনে, একটুখানি ভালোবাসার আশায় আবার মিলিত হয়েছেন।

পোল্যান্ডে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় গল্পের প্রেক্ষাপট। গল্পের প্রধান চরিত্র উইকটোর একজন শিল্পী। তিনি হারিয়ে যাওয়া লোকসংগীত সংগ্রহের কাজে তার প্রযোজককে নিয়ে ঘুরে বেড়ান পোল্যান্ডের গ্রামে গ্রামে।

কোল্ড ওয়ার সিনেমার দৃশ্য

এক গ্রামে গিয়ে তার পরিচয় হয় জুলার সঙ্গে। জুলা তাকে গান শোনায়, গানের তালে খুব দ্রুত নাচ শিখে ফেলার আশ্বাস দেয়। জুলার সোজাসাপ্টা স্বভাব আর চাঞ্চল্য উইকটোরকে আকৃষ্ট করে।

সাদা কালো ছবিতে অদ্ভুতভাবে এগিয়ে যেতে থাকে উইকটোর ও জুলার প্রেম কাহিনী। ভঙ্গুর প্রতিশ্রুতি, বিশ্বাসঘাতকতা, একে অপরকে পরিত্যাগের মতো জটিলতার মধ্য দিয়েই একে অপরের প্রতি ভালোবাসা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

কোল্ড ওয়ার পরিচালক পাওয়েল পাওলিকোউস্কির বাবা-মায়ের গল্প। বাস্তব জীবনের নামের সঙ্গে মিল রেখেই সিনেমায় চরিত্রের নামকরণ করা হয়।

জাপান: হুইসপার অফ দ্য হার্ট (১৯৯৫)

জাপানের জুনিয়র হাই স্কুলের দুই কিশোর-কিশোরীর মিষ্টি প্রেমের গল্প বলে হুইসপার অফ দ্য হার্ট। এ গল্পেও তাদের মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়। কিন্তু সে দূরত্ব তাদের আরও কাছে নিয়ে আসে; নিজেদের জানতে ও তাদের চাওয়া-পাওয়া সম্পর্কে পূর্ণ ধারণা দেয়।

গল্পের নায়িকা শিজুকু বইপ্রেমী। সে একদিন খেয়াল করে লাইব্রেরি থেকে নেয়া তার প্রতিটি বই সেইজি আমাসাওয়া নামে এক ছেলে আগে নিয়েছে। স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে শিজুকু তার বান্ধবীকে এ কথা বলে। সেদিনই শিজুকু তার একটা বই স্কুলে ফেলে আসে।

বই ফেরত আনার সময় সে খেয়াল করে তার বইটা একটা ছেলে পড়ছে। ছেলেটা তাকে নিয়ে দুষ্টুমি করে।

পরদিন শিজুকু ট্রেনে একটা বিড়াল দেখে। বিড়ালটার পিছু নিতে নিতে সে একটি প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন বিক্রির দোকানে চলে আসে। সে দোকানে স্যুট পরা একটি বিড়ালের মূর্তি তাকে আকৃষ্ট করে।

দোকানের মালিক শিরো নিশি তাকে মূর্তি বিড়ালের গল্প শোনায়। শিজুকুর মনে হয়, এ দোকানটা নতুন গল্প জানার এক বিশাল রাজ্য।

শিজুকু নিয়মিত সে দোকানে যেতে থাকে। একদিন দোকান বন্ধ থাকায় স্কুলের সেই ছেলেটির সঙ্গে শিজুকুর দেখা হয়। দোকানটির নিচেই সে ছেলেটির ওয়ার্কশপ, যেখানে সে ভায়োলিন বানানোর কাজ করে।

হুইসপার অফ দ্য হার্ট সিনেমার দৃশ্য

কথায় কথায় জানতে পারে এ ছেলেটিই সেইজি আমাসাওয়া যে লাইব্রেরির বইগুলো ইস্যু করেছিল।

সেইজি জানায়, তার স্বপ্ন একদিন মাস্টার লুথিয়ের হবে। অর্থাৎ এমন একজন ব্যক্তি যিনি তারের বাদ্যযন্ত্র তৈরিতে পারদর্শী ও এ বিদ্যা অন্যদের শেখাতে আগ্রহী।

এ কারণে সে শহর থেকে দূরে এক মাস্টারের কাছে শিক্ষা নিতে চায়। কিন্তু সেইজির মা-বাবা অনুমতি দিচ্ছে না।

সেইজি অবশেষে দুই মাসের জন্য মাস্টারের কাছ থেকে শিক্ষা নিতে যায়। শিজুকুকে জানিয়ে যায় তার ভালোবাসার কথা। শিজুকুও জানায় তার মনের কথা।

তাদের মধ্যকার এই দূরত্বে নিজেদের পারদর্শিতা সম্পর্কে তাদের সচেতন করে তোলে। একে অপরের জন্য তৈরি হতে সাহায্য করে।

ইয়োশিফুমি কোন্ডো পরিচালিত স্টুডিও জিবলি প্রযোজিত অ্যানিমেশন সিনেমা হুইসপার অফ দ্য হার্ট। একই নামের জাপানিজ মাঙ্গা কমিকস থেকে এ সিনেমার গল্প নেয়া হয়েছে।

সিনেমাটির চিত্রনাট্য লিখেছেন হায়াও মিয়াজাকি। ইয়োশিফুমি কোন্ডো পরিচালিত একমাত্র সিনেমা এটি।

ফ্রান্স: ব্লু ইজ দ্য ওয়ারমেস্ট কালার (২০১৩)

শিশুসুলভ কিশোরী অ্যাডেল ও নীল রঙের চুলের যুবতী এমার ভালোবাসার গল্প বলে ব্লু ইজ দ্য ওয়ারমেস্ট কালার। আবদেলাতিফ কেশিশে পরিচালিত আলোচিত সিনেমাটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে পালমে দি ওর পুরস্কার জিতে নেয়।

সিনেমাটি শুরু হয় অ্যাডেলের জগৎ দিয়ে। হাই স্কুলের সুন্দরীদের মধ্যে সে একজন। এক জন ছেলেবন্ধুর সঙ্গে থেকেও সে নীল চুলের এক মেয়ের প্রতি বেশি আকর্ষণ অনুভব করে।

নীল চুলের এমা চিত্রশিল্পী। অ্যাডেলকে হাত ধরে সে তার জগতে নিয়ে যায়। পার্কে বসে একে অপরের মন ও চিন্তা সম্পর্কে জেনে নেয়। নিজেদের আরও ভালো করে চিনে নিতে দুজন দুজনার হয়ে যায়।

ব্লু ইজ দ্য ওয়ারমেস্ট কালার সিনেমার দৃশ্য

অ্যাডেল ও এমা তাদের প্রথম ভালোবাসার অভিজ্ঞতা নিয়ে দিন পার করতে থাকে। কিন্তু অ্যাডেল তাদের এ সম্পর্কে এমন এক সমস্যা তৈরি করে যা তাদের মধ্যে নিয়ে আসে অনেক দূরত্ব, কষ্ট আর আঘাত।

সে আঘাত থেকে তারা নিজেদের ফিরিয়ে আনতে পারে কি না তাকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় কাহিনি।

যুক্তরাষ্ট্র: প্রিটি উইম্যান (১৯৯০)

প্রিটি উইম্যান জর্জিয়ার এক নারীর স্বপ্নকে বাস্তবে পরিণত হওয়ার গল্প বলে। ভিভিয়ান এক যৌনকর্মী, যার স্বপ্ন এক সুদর্শন রাজকুমার সাদা ঘোড়ায় চড়ে তাকে বিয়ে করতে আসবে।

তার স্বপ্ন যে সত্যি হওয়ার পথে, তা সে আন্দাজ করতে পারে না আগে থেকে। বেভারলি হিলসের বিলাসবহুল হোটেলে এক ধনী গ্রাহকের সঙ্গে কাটানো এক সপ্তাহ ভিভিয়ানের মধ্যে বেশ পরিবর্তন আনে। তিনি নিজের মধ্যে নিয়ে আসেন শহুরে অভিজাত্য।

প্রিটি উইম্যান সিনেমার দৃশ্য

ভিভিয়ানের চরিত্রে হলিউডের অন্যতম সুন্দরী জুলিয়া রবার্টস ও গ্রাহক এডওয়ার্ড লুইসের চরিত্রে অভিনয় করেন রিচার্ড গ্যারে। তাদের সহজাত মিষ্টি প্রেমের গল্প সিনেমাটিকে করে তোলে হলিউডের ক্ল্যাসিক রোমান্টিক কমেডি সিনেমাগুলোর একটিতে।

ব্যবসায়িক সমস্যায় জর্জরিত এডওয়ার্ড ভিভিয়ানের মধ্যে তার জীবনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার আশা দেখতে পায়। যে মুহূর্তে ভিভিয়ান মনে করেন এডওয়ার্ডের সঙ্গে কাটানো তার জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো শেষ হয়ে এসেছে, তখনই ভিভিয়ানের ছোটবেলার স্বপ্নকে সত্যি করে তোলার সিদ্ধান্ত নেন এডওয়ার্ড।

ভারত: দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে (১৯৯৫)

বলিউড রোমান্টিক সিনেমার তালিকায় সবসময়ই উপরের সারিতে থাকতে পারে দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে। এটি ভারতের প্রেমনির্ভর সিনেমাগুলোর মধ্যে অনন্য।

জনপ্রিয় নব্বইয়ের দশকের জুটি শাহরুখ খান ও কাজলের অন্যতম সিনেমা এটি, যা ২০২০ সালে ২৫ বছর পূর্তি উদযাপন করে।

পরিচালক আদিত্য চোপড়ার প্রথম সিনেমা এটি। এ দিয়েই তিনি ভারতের খুব পরিচিত প্রেমের গল্প দর্শকের সামনে উপস্থাপন করেন।

দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েঙ্গে সিনেমার দৃশ্য

রাজ ও সিমরানের দেখা হয় বিদেশের মাটিতে। বিয়ের আগে সিমরান ইউরোপ ঘুরতে যান। সেখানে রাজের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব ও প্রেম। কিন্তু সিমরানকে ফিরে আসতে হবে। তার বাবা আগে থেকেই বিয়ে ঠিক করে রেখেছেন।

রাজ সিমরানকে ভুলতে পারেন না। সিদ্ধান্ত নেন দেশে ফিরে সিমরানের পরিবারকে রাজি করিয়ে তাকে নিজের করে নেয়ার।

কিন্তু সিমরানের পরিবারকে রাজি করাতে তাকে গুন্ডাদের হাতে মার খেতে হয়। অবশেষে ভালোবাসার জয় হয় কি না, তা জানতে দেখে নিতে পারেন সিনেমাটি।

এ বিভাগের আরো খবর