দেশীয় চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ জহির রায়হান। তিনি সাহিত্যিক ও সাংবাদিকও। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭১ এর ১৭ ডিসেম্বর ঢাকা ফিরে আসেন তিনি এবং তার নিখোঁজ ভাই শহীদুল্লাহ কায়সারকে খুঁজতে শুরু করেন।
জহির রায়হান তার ভাইয়ের সন্ধানে মিরপুরে যান এবং সেখান থেকে আর ফিরে আসেন নি। ১৯৭২ এর ৩০ জানুয়ারির পর তার আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তাই ৩০ জানুয়ারি তার অন্তর্ধানের দিন হিসেবে পালন করা হয়। সেই হিসেবে আজ তার ৪৯তম অন্তর্ধানের দিন।
এই দিনটিকে কেন্দ্র করে ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি আয়োজন করেছে বক্তৃতা অনুষ্ঠান। যার শিরোনাম ‘জহির রায়হান: ক্যামেরা যখন রাইফেল’। ম্যুভিয়ানার ফেসবুক পেজে বক্তৃতা অনুষ্ঠানটি লাইভ হবে শনিবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে।
আয়োজনে বক্তৃতা করবেন চলচ্চিত্র সমালোচক, লেখক ও চলচ্চিত্র সংসদকর্মী মাহমুদুল হোসেন। ম্যুভিয়ানার সাধারণ সম্পাদক অদ্রি হৃদয়েশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করবেন ম্যুভিয়ানার সভাপতি বেলায়াত হোসেন মামুন।
জহির রায়হান ১৯৩৫ সালের ১৯ আগস্ট ফেনী জেলার সোনাগাজি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের মজুপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৫৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন।
Caption
১৯৫০ সালে তিনি যুগের আলো পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করা শুরু করেন। পরবর্তীতে তিনি ‘খাপছাড়া’, ‘যান্ত্রিক’, ‘সিনেমা’ পত্রিকাতেও কাজ করেন। ১৯৫৬ সালে তিনি সম্পাদক হিসেবে ‘প্রবাহ’ পত্রিকায় যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ ‘সূর্যগ্রহণ’ প্রকাশিত হয়।
চলচ্চিত্র জগতে তার পদার্পণ ১৯৫৭ সালে; জাগো হুয়া সাভেরা ছবিতে সহকারী হিসেবে কাজ করার মাধ্যমে। তিনি রূপালী জগতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ১৯৬১ সালে; কখনো আসেনি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে।
জহির রায়হান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ভাষা আন্দোলন তার ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছিল, যার ছাপ দেখতে পাওয়া যায় তার বিখ্যাত চলচ্চিত্র জীবন থেকে নেয়া সিনেমায়।