পর্দা নামল ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের। রোববার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরে পুরস্কার ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হয় নয় দিনব্যাপী আয়োজন।
বাংলাদেশ প্যানারোমা বিভাগে দর্শক জরিপে ফাখরুল আরেফীন খান পরিচালিত গণ্ডি ও জুরিদের মতে মাসুদ হাসান উজ্জ্বল পরিচালিত ঊনপঞ্চাশ বাতাস পেয়েছে সেরার পুরস্কার।
নারী চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভাগে স্পেশাল ম্যানশন পুরস্কার পেয়েছেন সুইডেনের জেসিকা লরেন; তার পরিচালিত সিনেমা ওয়ে হোম। একই বিভাগে ইরানের স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমা তিরিশকো’র জন্য শাকিবা খালেঘি, শ্রেষ্ঠ তথ্যচিত্র ইভডোকিয়া মোসকভিনা পরিচালিত ফরবিডেন চিলড্রেন (রাশিয়া, সিরিয়া) পেয়েছে সেরার পুরস্কার।
দ্য লিটল ব্ল্যাক ড্রেস সিনেমার জন্য সেরা নারী নির্মাতা হয়েছেন ইতালির মারগারিদা পাইভা।
স্পিরিচুয়াল চলচ্চিত্র বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র সাইপ্রাসের মারিনোস কারতিক্কিস পরিচালিত সিনিয়র সিটিজেন এবং শ্রেষ্ঠ ডকুমেন্টারি হয়েছে মেহরদাদ ওস্কৌই পরিচালিত সানলেস শ্যাডো।
এশিয়ান প্রতিযোগিতা বিভাগে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র দ্য রোড টু ইডেন, শ্রেষ্ঠ স্ক্রিপ্ট রাইটার নাসিম আহমদপুর ও শারাম মোকরি (ক্যায়ারলেস ক্রাইম), শ্রেষ্ঠ সিনেমাটোগ্রাফার ওটগনজুরিগ ব্যাচুলুউন (দ্য ওম্যান), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী মেরুইরট সুব্বুসিনোভা, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা নিজাত ইসলার (৯৭৫) ও ফারিদা সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালকের পুরস্কার পেয়েছেন কসেনিয়া লাগুটিনা (ফারিদা)।
বেস্ট চিলড্রেন ফিল্ম বাদল রহমান অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে রাশিয়ান সিনেমা টাগানক টিম।
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনীতে অতিথিরা।
সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, বিশষ অতিথি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উৎসব কমিটির নির্বাহী সদস্য ম. হামিদ।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আগামী বছর থেকে ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে আর্থিক সহায়তাসহ সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে তথ্য মন্ত্রণালয়। করোনা উপেক্ষা করে এত বড় উৎসব আয়োজন করা সাহসের ব্যাপার। কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা।’
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, ‘সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনুদান আরও বাড়ানো হবে। উপমহাদেশের মধ্যে এটি একটি বৃহৎ ও সংগঠিত উৎসব। সরকার চলচ্চিত্র শিল্পকে সব সময় প্রাধান্য দিয়ে আসছে।’
উৎসবর প্রধান পৃষ্ঠপোষক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এই উৎসবের বিষয়ে সর্বজ্ঞাত। এমনকি আজকের সমাপনী অনুষ্ঠান সম্পর্কে তিনি অবগত এবং সব সময় উৎসবের খোঁজ-খবর নেন। প্রধানমন্ত্রী স্বশরীরে আসতে না পারলেও উৎসব নিয়ে ইতিবাচক মনোভাব রয়েছে তার।’
ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচিত্র উৎসবের আগামী আসর বসবে ২০২২ সালের ১৫-২৩ জানুয়ারি।