বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিনেমায় নিজেকে আটকে রাখতে চাই: প্রিয়াঙ্কা

  •    
  • ২৪ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৪৪

‘সিনেমায় অবদান রাখার ক্ষেত্রে আমার নাম স্মরণ রাখা হোক, এটাই আমি চাই। আমার কাজের শিল্পকে আমলে নেয়া হোক, এটা আমি চাই। এক জন শিল্পী, অভিনেত্রী, প্রযোজক কিংবা লেখক হিসেবেও বিনোদন জগতে যে আওয়াজ আমি তুলতে চাই, তাকে যেন গুরুত্ব দেয়া হয়।’

এক দশকের অভিনয় জীবনে দর্শকদের তুমুল জনপ্রিয় কিছু কাজ উপহার দিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস। তেমনই একটি হলো নেটফ্লিক্সে তার নতুন সিনেমা দ্য হোয়াইট টাইগার।

অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি এ সিনেমার নির্বাহী প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেছেন। সিনেমাটি নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে শুক্রবার।

নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাওয়া কন্টেন্ট ও এর সংশ্লিষ্ট কলাকুশলীদের সঙ্গে দর্শকদের আরও একাত্মতা তৈরির জন্য নেটফ্লিক্স কিউ নামে একটি ওয়েবসাইট রয়েছে। সেখানে নতুন কন্টেন্টের অভিনয়শিল্পী বা পরিচালকদের সাক্ষাৎকার প্রকাশ করা হয়।

নেটফ্লিক্স কিউয়ের সাংবাদিক ক্রিস্টা স্মিথ এমনই একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বলিউড-হলিউড মাতানো প্রিয়াঙ্কার।

দ্য হোয়াইট টাইগার সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন চপ চপ, ফারেনহাইট ৪৫১ খ্যাত পরিচালক রামিন বাহরানি। সিনেমার গল্প ধার করা হয়েছে ২০০৮ সালের ম্যান বুকার পুরস্কার জিতে নেয়া অরবিন্দ আদিগারের উপন্যাস থেকে।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এ সিনেমায় ম্যাডাম পিংকি নামে একজন ধনী ভারতীয়-আমেরিকান নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। পিংকি ম্যাডাম তার গাড়িচালক বলরামকে (আদর্শ গৌরব) সহায়তা করেন ইচ্ছা পূরণে। কিন্তু এর ফল আশানুরূপ হয় না।

‘একটা মানুষ, যেখানে তার জন্ম ও বেড়ে ওঠা, সেই পারিপার্শ্বিকতা থেকে নিজেকে বের করে নিয়ে আসা—এই অবস্থার সঙ্গে আমি খুব ভালোভাবে পরিচিত। আমি এমন এক জন মানুষ যে সবসময় বিকশিত হয়েছে, বেড়ে উঠতে চেয়েছে। আমি প্রচণ্ড উচ্চাকাঙ্ক্ষী’, বলেন প্রিয়াঙ্কা।

প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস

২০০৮ সালের ডিসেম্বরে প্রিয়াঙ্কা বিয়ে করেন যুক্তরাষ্ট্রের সংগীতশিল্পী নিক জোনাসকে। এ নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘নিজের পেশার সঙ্গে মিল রেখে জীবনসঙ্গী খুঁজে পাওয়ার মধ্যে এক ধরনের স্বাধীনতা আছে, যা আপনার কাজের জায়গাকে আরও বেগবান করে। আমরা দুজনই একে অপরের মধ্যে এই দারুণ জিনিসটা খুঁজে পেয়েছি।’

কিশোরী বয়সে প্রিয়াঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রে যান। থাকতেন লোয়ার সেডার র‍্যাপিডসে। ১৭ বছর বয়সে তিনি বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় জিতে নেন বিজয়ীর মুকুট। তখন থেকেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে একটি পরিবর্তন তৈরির ইচ্ছা নিজের মধ্যে খুঁজে পান। এ ইচ্ছা থেকেই তিনি হয়ে ওঠেন ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের এক জন।

এরপর ২০১৫ সালে কোয়ান্টিকো সিরিজের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকদের কাছেও জনপ্রিয় হতে থাকেন প্রিয়াঙ্কা। যুক্তরাষ্ট্রের দর্শকরা খুব শক্ত করেই প্রিয়াঙ্কার হাত ধরে রেখেছে এখনও।

‘কোয়ান্টিকো আমার জন্য গর্বের একটি কাজ। তার অনেকগুলো কারণের একটি হলো, সেখানে এক জন ভারতীয়-আমেরিকানের চরিত্রে অভিনয় করেছি। ওই চরিত্রটি নিউ ইয়র্ককে সুরক্ষা দিত’, বলেন প্রিয়াঙ্কা।

ভবিষ্যৎ সম্পর্কে পরিষ্কার দৃষ্টি রাখা প্রিয়াঙ্কা কথা চালিয়ে যান। বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ার সেরা গল্পগুলো বলার বাধ্যবাধকতা বোধ করি। এক জন অভিনেত্রী ও এক জন প্রযোজক হিসেবে এটাই আমার উদ্দেশ্য।’

ভারতীয়দের কাছে আপনার অবস্থান সম্পর্কে আমি ঠিকমতো বলতে পারব না। কিন্তু ভারতের গল্প নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে তৈরি সিনেমার সেটে একই সঙ্গে একজন প্রযোজক ও অভিনেত্রী হিসেবে অবস্থান করার অভিজ্ঞতা কেমন?

প্রিয়াঙ্কা: ভারতে আমি ৬০ এরও বেশি সিনেমা করেছি। চরিত্রগুলোর মধ্যে অনেক ভিন্নতাও ছিল। সহযোগী অভিনেত্রী, কেন্দ্রীয় চরিত্র, খলচরিত্র সবকিছু। নিজেকে এ সিনেমার সঙ্গে জড়ানো অনেক আনন্দের অভিজ্ঞতা। নিজের ব্যক্তিগত সাফল্য চরিত্রের মধ্যে টেনে আনি না। যে চরিত্রগুলোতে আমি অভিনয় করি তাদের নিজস্ব সত্তা আছে। সেটে থাকা অবস্থায় চরিত্রগুলোকে সচেতনভাবে ফুটিয়ে তুলতে সে চরিত্রের প্রতি আস্থা রাখা জরুরি। তার জন্য প্রতিনিয়ত অনুপ্রেরণা প্রয়োজন। ঠিক তখনই আমি আমার সেরা কাজটা বের করে আনতে পারি।

বিশ্বের একটি বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আমার দীর্ঘ ক্যারিয়ার আছে। তার মানে এই নয় যে, বিশ্বের অপর প্রান্তের আরেকটি বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ক্যারিয়ার নতুনভাবে শুরু করার ক্ষেত্রে আমি কোনো অগ্রাধিকার পাব এবং এ সম্পর্কে আমি তীব্রভাবে সচেতন। যেটা আমি কোয়ান্টিকোর সঙ্গে করেছি। এই তো কিছু বছর আগেই, যুক্তরাষ্ট্রে করা আমার প্রথম কাজ, যেমন কাজ আমি আসলেই এ দেশে করতে চাই। ভারতে কাজ করার সৌভাগ্য যখন হলো, তখন আমি যেভাবে ধীরে ধীরে আমার ক্যারিয়ার গড়েছি, এখানেও তাই।

যে পরিমাণ খ্যাতি ও সাফল্যের কথা আপনার নামে শোনা যায়, তা থাকা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে এসে একই পরিমাণ কাজ করার ইচ্ছা। এর জন্য অনেক নম্রতা এবং ব্যাপক পরিমাণ আত্মবিশ্বাস প্রয়োজন। এই আত্মবিশ্বাস কোথায় পেয়েছেন?

প্রিয়াঙ্কা: আমি ভেবে দেখেছি, যা কিছুই আমি করি না কেন, তা এক ধরনের আত্মবিশ্বাস থেকেই জন্মায়। এর জন্য বেড়ে ওঠার সময়টাকে আমি কৃতিত্ব দেব। আমার মা-বাবা আমাকে এমন একটি পরিবেশে বড় করেছেন, যেখানে আমার মতামতকে গুরুত্ব দেয়া হতো। আমাকে কখনো বলা হয়নি, ‘এটা করবে না কারণ আমি নিষেধ করেছি’। কোনো একটি কাজ করা বা না করার পেছনের কারণটা আমাকে বুঝিয়ে বলা হতো। যে কোনো দুঃসাহসিক কাজে মা-বাবা আমাকে অনুপ্রেরণা দিতেন। ১২ বছর বয়সে আমার আঙ্কেল আন্টির সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে চলে আসি। এটা আমার নিজের সিদ্ধান্ত ছিল। আমি তাদের বলেছি, আমার ভাইবোনদের সঙ্গে আমি যুক্তরাষ্ট্রে থাকতে চাই এবং এখানকার স্কুলে পড়তে চাই। তারা তখন ভারতে। আমার এ কথা তারা হেসে উড়িয়ে দেননি। নতুন কিছুর স্বাদ নেয়ার উদ্দীপনা এখান থেকেই এসেছে।

খুব ছোট বয়সে আমি পরাজয়ের স্বাদও পেয়েছি। যখন সিনেমা জগতে পা রাখি, আমাকে বের করে দেয়া হয়েছিল কারণ সঠিক মানুষগুলোর সঙ্গে আমার পরিচয় ছিল না। আমি কাজ করে সব কিছু শিখেছি এবং দ্রুত শিখেছি যেন আমার চেয়ে আরও একটু ভালো কাজ আমাকে সরাতে না পারে। যে খ্যাতি চাও, যে সাফল্য চাও তার সবই তুমি পাবে। কিন্তু প্রাসঙ্গিক থাকতে হলে, তোমাকে তোমার কাজের জায়গাতেও প্রাসঙ্গিক থাকতে হবে। সবাই কখনোই সব কিছু জানতে পারে না, তাই আমি চেষ্টা করি জীবনের এক জন ছাত্রী হয়ে থাকার। আমি শুনি, পর্যবেক্ষণ করি, চলার পথে প্রতিনিয়ত নিজেকে নতুন কিছু শেখাই। চার বা পাঁচ বছর আগে আমি প্রযোজনা শুরু করি। প্রযোজনার প্রতিটা ছোটখাটো জিনিস আমাকে শিখতে হয়েছে।

প্রযোজক হওয়ার পেছনে কী আপনাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে?

প্রিয়াঙ্কা: যেকোনো ভাবেই আমি সিনেমা তৈরির কাজে নিজেকে আটকে রাখতে চাই। পেছনের দিকে তাকালে একটা মজার ঘটনা মনে পড়ে, আমার যখন ৩০ বছর হলো, আমার মা আমাকে বলল, ‘৩০ বছরের বুড়ো বয়সে নায়িকার কাজ তোমাকে দেয়া হবে না। প্ল্যান বি নিয়ে চিন্তা করো।’

তখন আমার মনে হলো, ওহ, সে তো ঠিক কথাই বলছে। কাজ পাওয়া বন্ধ হয়ে গেলে আমি কী করব! নারী অভিনেত্রীদের জন্য এটা একটা চিন্তার বিষয়। ছেলেদের জন্য একথা সবসময় সত্যি না।

আমার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান চালু হয় এবং আমি চাইনি যে অভিনেত্রী হিসেবে আমার নাম দিয়ে কোম্পানি চলুক। তাই আমি ভারতের আঞ্চলিক গল্পগুলোতে নজর দিলাম। যেগুলো হিন্দি ভাষার না, বলিউড না। মারাঠি বা পাঞ্জাবি গল্প।

যুক্তরাষ্ট্রে যখন অভিনয় শুরু করি, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানটাও আমি এখানে নিয়ে আসতে চাইলাম। আমরা অসাধারণ কিছু সিনেমা ও টেলিভিশন শো বানিয়েছি, যেগুলোর ঘোষণা আমরা খুব দ্রুতই দেব। দ্য হোয়াইট টাইগারের নির্বাহী প্রযোজক ছিলাম। মিন্ডি কালিংয়ের সঙ্গে আমি একটি সিনেমা করছি, যেটা আমরা দুজন মিলেই প্রযোজনা করছি। আরও কিছু কাজ এখনও চলছে।

দ্য হোয়াইট টাইগারের সেটে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া, রাজকুমার রাও ও আদর্শ গৌরব

দ্য হোয়াইট টাইগার সিনেমায় দর্শকরা আপনার অভিনয়ের ব্যাপ্তি ও গভীরতা সম্পর্কে জেনেছে। অভিনেতা হিসেবে আর কী অর্জন করতে চান?

প্রিয়াঙ্কা: হায় ঈশ্বর! খুব ভারী একটা প্রশ্ন। অনেক বেশি। আমি উত্তরাধিকার অর্জন করতে চাই। সিনেমায় অবদান রাখার ক্ষেত্রে আমার নাম স্মরণ রাখা হোক, এটাই আমি চাই। আমার কাজের শিল্পকে আমলে নেয়া হোক, এটা আমি চাই। এক জন শিল্পী, অভিনেত্রী, প্রযোজক কিংবা এক জন লেখক হিসেবেও বিনোদন জগতে যে আওয়াজ আমি তুলতে চাই, তাকে যেন গুরুত্ব দেয়া হয়।

আমি একটি প্রবন্ধ পড়েছিলাম যেখানে আপনাকে বর্ণনা করার জন্য খুব সুন্দর একটি আখ্যা দেয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল, আপনি চিন্তা ও মনের দিক থেকে সুন্দর।

প্রিয়াঙ্কা: কী?! কে বলেছে?

আপনাকে সামনাসামনি দেখার পর আমিও একমত। এত সৌন্দর্য নিয়ে আপনি যখন একটি কামরায় প্রবেশ করেন, তখন তার সঙ্গে এক ধরনের শক্তি থাকে। আপনাকে ঘিরে এবং আপনার চাওয়াকে ঘিরে কিছু অনুধাবন তৈরি হয়। এ বিষয়টা কীভাবে পরিচালনা করেন?

প্রিয়াঙ্কা: এটা খুব অদ্ভুত একটা প্রশ্ন। সারা জীবন আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগেছি। নিজেকে আমি আত্মবিশ্বাসী হওয়া শিখিয়েছি। শিখিয়েছি কীভাবে শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিতে নিজের সেরাটা বের করে আনতে হয়। ছোটবেলায় আমি খুব লাজুক ছিলাম। অনেক বেশি মেকআপ করতাম। ফ্যাশন সম্পর্কে কোনো ধারণা ছিল না। এখন ৪০ এর কাছাকাছি এসে আমি ভাবি নিজেকে এই জায়গায় নিয়ে আসতে আমাকে কত না পরিশ্রম করতে হয়েছে। তার মধ্যে একটি উপায় ছিল নিজেকে কীভাবে ভালো লাগে তা জানা। এই জানাটা ইন্ডাস্ট্রির অভিজ্ঞ মানুষদের সঙ্গে কাজ করতে গিয়েই জেনেছি। তারা আমাকে বলেছে- এই চুলে তোমাকে ভালো লাগে, চুল পার্ম করো না বা চোখের সব পাপড়ি তুলে ফেলো না।

পুরোটাই আসলে কাজ করে নিজেকে পুরোপুরি জানার মধ্যে। বিবর্তনই এ খেলার আসল নাম। সবসময় তোমাকে ভাবতে হবে, তুমি প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছো। সারা জীবন আমি এটাই করেছি। কিন্তু হ্যাঁ, সিনেমায় কাজ করতে গিয়ে আমাকে মাঝে মধ্যে শুনতে হয়েছে যে, আমি চরিত্র থেকে বের হয়ে আসছি। অভিনেত্রী হিসেবে এটা না ঘটানোই আমার কাজ। যে চরিত্র আমি করছি, সে মানুষটা হয়ে যাওয়াই আমার কাজ।

আপনি এমন একটা কথা বললেন, যেটা স্বাভাবিকভাবেই আপনার স্বামী নিকের প্রসঙ্গ আনে। নিক আপনার উচ্চাশা ভালোবাসে। আপনাদের আলাদা আলাদা উচ্চাশাগুলো একত্র করে চলাটা কী রকম?

প্রিয়াঙ্কা: সারা দিনের কাজ শেষে বাসায় গিয়ে কাজ সম্পর্কে কারো সঙ্গে কথা বলা এবং এমন কিছু জেনে নেয়া যা আপনাকে পরবর্তী দিনের জন্য অনুপ্রেরণা দেবে। নিক আর আমার সম্পর্ক এমনই। আমাদের ক্যারিয়ার আলাদা, শিল্পী হিসেবে একে অপরের কাজ নিয়ে কথা বলার এ স্বাধীনতা আমাদের আছে। শিল্প নিয়ে আদান প্রদান হয়ে থাকে আমাদের মধ্যে। আমি যদি বলি, এই সিনে আমি আটকে গেছি, তখন সে বলবে, বিষয়টা এভাবে চিন্তা করো। এটা আমাদের আরও ভালো করে তোলে।

স্বামী নিক জোনাসের সঙ্গে প্রিয়াঙ্কার সেলফি

খুব সুন্দর। এ সম্পর্ক থেকে আরও সুন্দর কী কী তৈরি হয় তা দেখার জন্য আমি অপেক্ষা করছি। একসঙ্গে কাজ করবেন কি?

প্রিয়াঙ্কা: বলা যেতে পারে আমরা তা শুরু করে দিয়েছি এবং খুব শিগগিরই এটা নিয়ে আপনি জানতে পারবেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি মানবপ্রীতিও আপনার কাছে অগ্রাধিকার পায়। আপনি ইউনিসেফের সঙ্গে কাজ করেন, নারীদের উন্নত সুযোগ-সুবিধার জন্য একটি টেকনোলজি স্টার্টআপের সঙ্গেও আপনি যুক্ত। নারী ও তরুণীদের উন্নয়নের জন্য আপনি অনেক শক্তি প্রয়োগ করেছেন।

প্রিয়াঙ্কা: এটা আমার মধ্যে ছোটবেলা থেকেই ছিল। এটা আমার দায়িত্ব। ব্যারিলিতে আমার মা-বাবার একটা স্থানীয় হাসপাতাল ছিল। যাদের চিকিৎসার সামর্থ্য থাকত না, তাদের জন্য সে হাসপাতালে সবসময় জায়গা থাকত। তারা গ্রামে গ্রামে বিনা মূল্যে চিকিৎসা দিত।

এমন প্রকৃতির মাঝেই আমি বড় হয়েছি। ১৭ বছর বয়সে যখন মিস ওয়ার্ল্ড হলাম, তখন কোনো কিছুর প্রভাবের যে শক্তি আছে, তা নজরে এল। পেজেন্টে এসে দেখলাম, আমি যা বলছি, সবাই তা লিখে নিচ্ছে। তখন আমার মনে হয়েছে আমার এমন কিছু বলা উচিত যা গুরুত্বপূর্ণ। বিনোদন জগতে আসার পর এই জায়গাটাকে আমি মনোযোগ দিলাম। আমার সামাজিক দায়িত্ব পালন করার জন্য এ প্ল্যাটফর্মটাকে খুব ভালো করে কাজে লাগালাম।

যে জায়গাগুলোতে নজর দেয়া প্রয়োজন প্রতি বছর আমি তার ওপর কাজ করি। মানবতার কাজে যখন পাবলিক ফিগাররা কাজ করে, তখন তাদের বার্তাগুলো খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে। এ কাজটা আমি খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেই। আমার পক্ষে যা সম্ভব এবং যেভাবে সম্ভব, তা আমি ফিরিয়ে দিতে চাই।

এ বিভাগের আরো খবর