হইচই, নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন, বঙ্গবিডিসহ ওভার দ্য টপ (ওটিটি) মাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নীতিমালা প্রণয়নের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এসব নির্দেশ দেন।
আগামী তিন মাসের মধ্যে নীতিমালার খসড়া করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. তানভীর আহমেদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আজকে আদালতে বিটিআরসির চেয়ারম্যান এবং সাইবার পুলিশ সেন্টার থেকে দুটি প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। বিটিআরসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব প্ল্যাটফর্ম থেকে তাদের কোনো রাজস্ব আদায় হয় না। কোনো ধরনের রেগুলেশন না থাকায় সেটি আদায় হচ্ছে না।
‘একইভাবে সাইবার পুলিশ সেন্টারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং পর্নোগ্রাফি আইন থাকলেও প্ল্যাটফর্ম থেকে অশ্লীলতা রোধে সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নাই, যার ফলে সবসময় সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে পারেন না। এ কারণে যদি এই ধরনের একটা নীতিমালা হয়, তাহলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা সুবিধা হবে। এসব বিষয়ে বিবেচনায় নিয়ে আদালত একটি খসড়া নীতিমালা করে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।’
নেট ফ্লিক্স, হইচইসহ ইন্টারনেট মাধ্যমে (ওটিটি প্ল্যাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের ‘অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন-বহির্ভূত ভিডিও’র অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেছিল হাইকোর্ট।
এ ছাড়াও নেটফ্লিক্সের মতো অন্য ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে কীভাবে সরকার রাজস্ব সংগ্রহ করে তা এক মাসের মধ্যে বিটিআরসিকে জানাতে নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
ওই দিন বিটিআরসি ও সাইবার পুলিশ সেন্টারকে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ দুটি প্রতিবেদন দাখিল করা হয়।
এর আগে গত বছরের ১৫ জুলাই ইন্টারনেট ও বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে (ওটিটি প্ল্যাটফর্ম) ছড়িয়ে পড়া ওয়েব সিরিজের ‘অনৈতিক, নিন্দনীয় ও আইন-বহির্ভূত ভিডিও’র অংশগুলো সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পাশাপাশি এসবের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে একটি প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
এর আগে ১৪ জুন বাংলাদেশি ওয়েব সিরিজের ‘বিতর্কিত’ অংশ বাদ দিতে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ দিয়েছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
সে নোটিশের কোনো জবাব না পেয়ে তিনি ১২ জুলাই হাইকোর্টে রিট করেন।