সংগীতশিল্পী আসিফ আকবরের নামে মানহানির মামলার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন আরেক শিল্পী নাজমুন মুনিরা ন্যান্সি। তার দাবি, আসিফের দেখানো পথেই হেঁটেছেন তিনি।
সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ফেসবুক লাইভে এসে মামলার বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলেন ন্যান্সি।
আসিফের নামে ন্যান্সি মানহানির মামলা করেন গত বছরের ১০ জুলাই। মামলার পর পুলিশ এর তদন্ত করে সত্যতা খুঁজে পায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসিফকে সমন পাঠায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর।
সোমবার ন্যান্সি জানান, আসিফের ভক্তদের মধ্যে যারা কথা বলে বিষয়টির সমাধানের কথা বলছেন, তাদের জন্য এ লাইভ।
তিনি বলেন, ‘আমি এখন যে পথে চলছি, সে পথ আমাকে দেখিয়ে দিয়েছেন আসিফ আকবর।’
ন্যান্সি শুরু করেন ২০১৩ সালের আসিফের সঙ্গে করা অ্যালবাম ‘ঝগড়ার গান’-এর ঘটনা দিয়ে। তার দাবি, তিনি ১২টি গান গেয়েছেন এ অ্যালবামে। কিন্তু সম্মানী হিসেবে দুই লাখ টাকা আগাম রয়্যালটি ছাড়া আর কিছু পাননি।
ন্যান্সি উল্লেখ করেন, অ্যালবামের সম্মানী পাওয়ার বিষয়টি আসিফ আকবরের দায়িত্বে ছিল। তার দাবি, আসিফকে প্রাপ্য সম্মানীর জন্য যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া দেননি। এর এক বছর পর আসিফ আকবর তাকে আরেকটি অ্যালবাম করার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি তা ফিরিয়ে দেন।
আসিফ আকবরের সঙ্গে এর পরে আর যোগাযোগ হয়নি বলে জানিয়েছেন ন্যান্সি।
তিনি জানান, এর মাঝে আসিফ আকবর সংগীতাঙ্গনের আরও কিছু ব্যক্তি নিয়ে কথা বলেন ফেসবুকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন শফিক তুহিন। সে মামলায় কারাগারে পাঠানো হয় আসিফকে।
ন্যান্সি জানান, আসিফ কারাগারে থাকাকালে তার কাছে বাংলা ট্রিবিউনের এক সাংবাদিক কিছু প্রশ্ন করেন। তিনি জানতে চান আসিফের সঙ্গে করা অ্যালবামের টাকা পেয়েছেন কি না। তাকে আরও প্রশ্ন করা হয়, আসিফ আকবর সংগীতাঙ্গনের ব্যক্তিদের নিয়ে যে কথাগুলো বলেছেন তিনি তা সমর্থন করেন কি না। দুটি প্রশ্নের উত্তরেই তিনি ‘না’ উত্তর দেন।
লাইভে ন্যান্সি একটি ঘটনার উদাহরণ দেন। তিনি জানান, ২০১৮ সালের ২৬ জুন আসিফ আকবর জাগো এফএমের একটি অনুষ্ঠানে আসেন। সেখানে ন্যান্সির গায়কি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে তিনি উত্তরে বলেন, ‘ন্যান্সি ভালো গায়। কিন্তু মানুষ খারাপ, অকৃতজ্ঞ। ছয় মাস মাথা খারাপ থাকে। গলার সঙ্গে কথাবার্তা যায় না।’
আসিফকে উদ্ধৃত করে ন্যান্সি আরও বলেন, ‘আমি যখন জেলে ছিলাম, তখন তার (ন্যান্সি) কিছু বক্তব্য শুনলাম। দুঃখজনক বক্তব্য। এ জন্য তাকেও আইনি ব্যবস্থার মুখোমুখি হতে হবে। কাউকে কিছু বলার আগে তার ব্যক্তিত্ব ও অবস্থান সম্পর্কে জেনে কথা বলতে হয়; না হলে শাস্তি পেতে হয়।’
আসিফের এ বক্তব্য অনুসরণ করেই মামলা করা হয়েছে বলে জানান ন্যান্সি।
ন্যান্সি বলেন, এক অনুষ্ঠানে তাকে পাঁচ লাখ টাকা ধার দেয়ার দাবি করেছেন আসিফ।
তার ভাষ্য, ‘তিনি (আসিফ) আমাকে টাকা ধার দিয়ে থাকলে তার ডকুমেন্ট আমি দেখতে চাই।’
ন্যান্সির এসব বক্তব্য নিয়ে আসিফের মতামত জানতে চেয়ে একাধিক বার ফোন করেও তাকে পাওয়া যায় নি।