নবাব এলএলবি সিনেমার পরিচালক অনন্য মামুন ও অভিনেতা শাহিন মৃধাকে পাঠানো হয়েছে জেলে। তাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে পর্নোগ্রাফি মামলা। মামলায় আসামি হিসেবে ছিল অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়ার নামও। পরে সেই নাম বাদ দেয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে স্পর্শিয়া কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
নিউজবাংলা: পুরো পরিস্থিতিকে কীভাবে দেখছেন?
স্পর্শিয়া: প্রশাসন যেটা মনে করেছেন, সেটা করেছেন। এখানে আসলে আমার বলার কিছু নেই।
নিউজবাংলা: সংলাপটি এতো জোরালো করে উপস্থাপন করার প্রয়োজন হলো কেন?
স্পর্শিয়া: হ্যাঁ, সংলাপটির প্রয়োজন ছিল। মামলার এজাহার যখন লেখা হয়, তখন এই প্রশ্নগুলো করা হয়। কিন্তু সিনেমায় যেভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, সেটা আসলেই ঠিক হয়নি এবং দেখতে খারাপ লাগছে।
আমি এটা ডিরেক্টরকে বলেছিলাম যে এটা নিয়ে ঝামেলা হবে। আমাদের সমাজে যদি পুলিশকে ছোট করে দেখানো হয় তাহলে এটা তো ঝামেলা হওয়ার মতো।
নিউজবাংলা: যে শব্দগুলো ব্যবহার করা হয়েছে সেটা তো নারীকে বিব্রত করে। তাহলে আপনি কেন এই দৃশ্যে শব্দগুলো গ্রহণ করলেন?
স্পর্শিয়া: আমি গ্রহণ করিনি। দর্শক সিনটা দেখলে বুঝবে, আমি যে এক্সপ্রেশন দিয়েছি সেটাতে এই বিরক্তি বোঝা যায়। এরকম প্রশ্ন করলে যে কোনো নারী বিব্রত হবে এবং আমি সেরকম অভিনয়টাই করতে চেয়েছি।
নিউজবাংলা: এখানে তো অভিনেত্রীর কোনো দোষ নেই। কিন্তু তারপরও আপনাকে নিয়ে তিরস্কার করা হচ্ছে। কী বলবেন?
স্পর্শিয়া: আমাকে সবাই ভুল বুঝছে, সবার বোঝা উচিত। ফেক নিউজের কারণে আমি বেশ বিব্রত। এটা পুরাটাই আসলে ডিরেক্টরের রেসপনসিবিলিটি। এখানে আর্টিস্টের কিছু করার নেই। আর আমি পুরো সিনেমায় কোনো জায়গায় এমন কোনো সংলাপ দেইনি যেখানে আমাদের সরকার বা আমাদের পুলিশবাহিনী ছোট হবে।
নিউজবাংলা: পরিচালকসহ এক জন অভিনেতাকে যে জেলে নেয়া হলো এটা নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া কী?
স্পর্শিয়া: এটা নিয়ে আমার কোনো স্ট্যান্ড নেই, কিছু বলার নেই। দৃশ্যধারণের সময়ই বলেছিলাম যে এরকমটা হতে পারে। আর আমাদের পুলিশের যদি এমন মনে হয় যে সংলাপটির জন্য পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীকে গ্রেপ্তার করা হবে, তাহলে সেটা তারা নিশ্চয়ই বুঝেই করেছেন।