নবাব এলএলবি সিনেমার পরিচালক অনন্য মামুন ও পুলিশ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা শাহিন মৃধা এখন কারাগারে। পর্নোগ্রাফি মামলায় তারা গ্রেফতার হয়েছেন।
যে দৃশ্যের সংলাপের জন্য এই মামলা করা হয়েছে, সে দৃশ্যে পুলিশের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাহিন মৃধা এবং তার কাছে ধর্ষণের অভিযোগ করতে আসা এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অর্চিতা স্পর্শিয়া।
সেই দৃশ্য এবং সংলাপ ভাইরাল হয়ে গেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। কিন্তু চলচ্চিত্রের সংলাপের ভিত্তিতে একজন পরিচালককে কারাগারে পাঠানো কতোটা যৌক্তিক?
এ ব্যাপারে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় নির্মাতা এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মের নীতিমালা প্রণয়ন কমিটির সদস্য পিপলু আর খানের সঙ্গে।
পিপলু আর খান বলেন, ‘আমি ভিডিওটি দেখেছি। দৃশ্য বা সংলাপ নিয়ে কথা বলতে চাই না। তবে পরিচালককে গ্রেফতার কারার বিষয়টি আমি সমর্থন করি না।
‘অনলাইনে তো এখন সবকিছুই আছে। কতরকম খারাপ কথা বলে বলে মানুষজন সেগুলো ইউটিউব, ফেসবুকে আপলোড করছে। তাহলে তো তাদেরকেও গ্রেফতার করা দরকার। আর পুলিশের মুখে কি খারাপ ভাষা থাকে না?’
চলচ্চিত্র পরিচালকদের সব ধরনের স্বার্থ রক্ষার জন্য কাজ করে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি। একজন পরিচালক ও একজন অভিনেতাকে কারাগারে নেয়ার বিষয়ে তাদের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এ ব্যাপারে এখনই কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চান না তারা।
সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি বিষয়টি জানি। তবে আমি সিনেমাটি দেখিনি। কোন সংলাপের জন্য এমন হলো সেটা জানি না।
‘আমি মনে করি সব জায়গার ভালো-মন্দ আছে। খারাপ যেমন দেখাতে হবে তেমনি তার ভালো দিকটাও দেখাতে হবে। একপেশে খারাপ দেখানো যাবে না।‘
গুলজার জানান, শনিবার সকালে তারা বিষয়টি নিয়ে সমিতির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন।