নুহাশ হুমায়ূন নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন পরিচালক হিসেবে। স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, নাটক ও টেলিভিশন বিজ্ঞাপন নির্মাণের পর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে যাচ্ছেন এ তরুণ পরিচালক।
তার প্রথম সিনেমার নাম মুভিং বাংলাদেশ। দেশে পাঠাও অ্যাপে যাত্রা শুরুর গল্প নিয়ে হবে সিনেমাটি। কীভাবে এক দল তরুণ ঢাকার যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে নিজেরাই একটি উপায় বের করে ফেললো- সে গল্পই দেখানো হবে সিনেমায়।
নুহাশ হুমায়ূন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘সিনেমার স্ক্রিপ্ট লেখা হয়েছে এক বছর আগে। এরপর আমরা স্ক্রিপ্টটি নিয়ে ভারতের প্রোডাকশন মার্কেট ফিল্ম বাজারে যাই এবং সেখানে এ বছরের একমাত্র বাংলাদেশি সিনেমা হিসেবে নির্বাচিত হয় মুভিং বাংলাদেশ।’
ফিল্ম বাজার মূলত একটি বাজার যেখানে প্রযোজক, পরিবেশক, সম্পাদকসহ সিনেমার বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা থাকেন। তাদের সামনে সিনেমাটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক উপস্থাপন করতে হয়। তাদেরকে সিনেমাটির গুরুত্ব বোঝানো গেলে কিছু ভ্যালু তারা যুক্ত করেন। এটাই ভারতের ফিল্ম বাজারে যাওয়ার সুবিধা।
গুপী বাঘা প্রোডাকশনের ব্যানারে সিনেমাটি প্রযোজনা করছেন আরিফুর রহমান ও বিজন ইমতিয়াজ। এর আগে এই প্রোডাকশনের ব্যানরে আরিফুর রহমানের প্রযোজনায় মাটির প্রজার দেশে সিনেমাটি করেছিলেন বিজন ইমতিয়াজ।
মুভিং বাংলাদেশ সিনেমার চিত্রনাট্য ফিল্ম বাজার ছাড়াও লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবের ওপেন ডোর কনসালটেন্সি থেকে চিত্রনাট্য বিষয়ে পরামর্শ পাবে।
সিনেমায় থাকবে ২০১৪-১৫ সালের প্রেক্ষাপট। আগামী বছর শুরু হবে শুটিং।
নুহাশ আরও বলেন, ‘এক সময় ঢাকার রাস্তায় বাইকের সংখ্যা খুব কম ছিল। কিন্তু পাঠাও আসার পর রাস্তায় বের হলেই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে বাইক। পাঠাও এর কারণে অনেক মানুষের কাজও বেড়েছে। এগুলোও সিনেমার অংশ।’
নুহাশ হুমায়ূন এর আগে সম্মিলিতভাবে ইতি তোমারই ঢাকা নামের সিনেমার একটি গল্প পরিচালনা করেন। ইতি তোমারই ঢাকা ২০২১ সালের অস্কার পুরস্কারের বিদেশি ভাষার চলচ্চিত্র বিভাগে অংশগ্রহণের জন্য বাংলাদেশ থেকে নির্বাচিত হয়েছে।