স্বাস্থ্যবিধি মেনে রাজধানীতে শুরু হয়েছে গিভ অ্যান্ড টেক নামের নতুন সিনেমার শুটিং। অপূর্ব রানা পরিচালিত সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন বাপ্পী চৌধুরী, অধরা খান, বিপাশা কবীরসহ অনেকে। ১৫ ডিসেম্বর উত্তরার শুটিং সেটে গিয়েছিল নিউজবাংলা টিম।
বিকালে নিউজবাংলা টিম যখন শুটিং সেটে গিয়ে পৌঁছায়, তখন নতুন দৃশ্যের প্রস্তুতি চলছে। সেটে ছিল না কোনো অভিনয়শিল্পী। পরিচালক অপূর্ব রানা, সিনেমাটোগ্রাফারসহ কলাকুশলীরা প্রস্তুত করছিলেন দৃশ্যের প্রয়োজনীয় সেট।
এর মধ্যেই নিউজবাংলার সঙ্গে কথা হয় পরিচালক অপূর্ব রানার। তিনি বলেন, ‘অনেক দিন পর শুটিংয়ে ফিরলাম। ভালো লাগছে। ইউনিটে মানুষ কমিয়ে শুটিং করতে হচ্ছে। তারপরও ভালো লাগছে।’
গিভ অ্যান্ড টেক সিনেমা নিয়ে তেমন কোনো ধারণা দেননি পরিচালক। শুধু জানিয়েছেন, এই সময়ের মতো করেই নির্মিত হবে সিনেমা।
গিভ অ্যান্ড টেক সিনেমার দৃশ্যকরোনা পরিস্থিতির মধ্যে সিনেমা নির্মাণের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো অর্থের জোগান। কিছুটা আশ্চর্য করে দিয়ে পরিচালক জানালেন, সিনেমা নির্মাণের জন্য অর্থ প্রাপ্তির জায়গা আগের চেয়ে নাকি বেড়েছে।
পরিচালক এসব কথা বলার মধ্যেই সেটে ঢুকে যান নায়ক বাপ্পী চৌধুরী। সেটের অন্যদের সঙ্গে কথা বলে বুঝে নেন দৃশ্যটি।
দৃশ্যটি এমন- নায়িকা তাদের ঘরের বিছানার কাছে থাকবেন আর নায়ক থাকবেন সোফায়। তিনি সেখানে বসে কাগজ-কলম নিয়ে করতে থাকবেন অফিশিয়াল কাজ। হঠাৎ নায়ক কাজ ফেলে এসে নায়িকাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরবেন। এরপর কিছু কথোপকথন।
নায়িকা এতক্ষণ সেটে ছিলেন না। তিনিও ঢুকে গেলেন। এই দৃশ্যে বাপ্পীর সঙ্গে থাকবেন অধরা খান। তিনিও বুঝে নিলেন দৃশ্যটি। শুরু হলো দৃশ্যধারণ। সহজেই হয়ে গেল কাজটি।
বাপ্পী-অধরা জুটির তৃতীয় সিনেমা এটি। তাই বোঝাপড়াটা অনেক ভালো তাদের মধ্যে।
একটি দৃশ্য প্রয়োজনমতো একাধিক অ্যাঙ্গেলে নিতে হয়। এগুলোকে বলে লং, মিড ও ক্লোজ শট। একটি অ্যাঙ্গেলে শট নেয়া শেষে আরেকটি অ্যাঙ্গেলে শট নেয়ার মাঝখানে কিছু সময় লাগে। সেই সময়ে নায়ক-নায়িকার কথা হলো নিউজবাংলার সঙ্গে।
গিভ অ্যান্ড টেক সিনেমার দৃশ্যবাপ্পী বলেন, ‘সিনেমায় আমার চরিত্র নিয়ে খেলার সুযোগ আছে। কখনো স্বাভাবিক কখনো অস্বাভাবিক।’
এই কথা বলতেই নায়িকা বলে উঠলেন, ‘সিনেমায় বাপ্পীর যে অস্বাভাবিকতা, স্বাভাবিক অবস্থায় বাপ্পী তেমন।’
আগের বারগুলোর তুলনায় এবার বাপ্পী-অধরা জুটি আরও পরিণত। তাই হয়তো দর্শকরাও সিনেমাটি পছন্দ করবে আগের চেয়ে বেশি। এসব কথা বলতে বলতে নতুন অ্যাঙ্গেলে দৃশ্যধারণের জন্য প্রস্তুত হয়ে গেলেন সবাই। আবারও শুরু হলো দৃশ্যধারণ।