২০২০ সাল বদলে দিয়েছে সিনেমা জগত এবং সংশ্লিষ্টদের জীবন। করোনা মহামারির সময়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে সিনেমা হলের পরিপূরক। এ বছর রুপালি পর্দার জগত এবং পরবর্তী সম্ভাবনা নিয়ে বলিউড অভিনেতা রাজকুমার রাও কথা বলেছেন ভারতীয় গণমাধ্যম বলিউড হাঙ্গামার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি অনুবাদ করা হয়েছে নিউজবাংলার পাঠকের জন্য।
২০২০ সাল আপনার জন্য কেমন ছিল?
এটা আমাদের সবার জন্যই একটা কঠিন বছর। বছরটি আমাদের কোনো জিনিসের মূল্য বুঝতে শিখিয়েছে যা আমরা আগে বুঝতে চাইতাম না। আমি এর মধ্যে অনেক বই পড়েছি এবং অভিনয় ও চিত্রনাট্য লেখার বিষয়ে বিভিন্ন অনলাইন ওয়ার্কশপ করেছি। চেষ্টা করেছি পুরো সময়টা কাজে লাগাতে, কিন্তু সিনেমার সেট ভীষণ মনে পড়েছে।
২০২১ সালে আপনার প্রত্যাশা কী?
আমি মনেপ্রাণে চাই মহামারির সময়টা পার হয়ে যাক এবং আমাদের সবার জীবন আগের মতো স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাক।
সিনেমা নিয়ে আপনার বছরটা ভালো কেটেছে কি?
লুডু ও ছালাং সিনেমা দুটি নিয়ে আমি খুব উচ্ছ্বসিত ছিলাম। সিনেমা দুটি নেটফ্লিক্স ও অ্যামাজনে মুক্তি পায়। দুটি সিনেমাই দর্শক অনেক পছন্দ করেছে এবং আমি নিজে আলু ও মন্টু চরিত্রের জন্য ভক্তদের কাছ থেকে অনেক ভালোবাসা পেয়েছি।
আগামী বছরটাও আপনার জন্য সমান উত্তেজনাপূর্ণ, নাকি আরও বেশি?
হ্যাঁ, আমি প্রথম আন্তর্জাতিক সিনেমা দ্য হোয়াইট টাইগার এর জন্য অনেক অপেক্ষা করছি। সামনে আরও কিছু নতুন সিনেমার কাজ আছে, কিন্তু সেগুলো লকডাউনের আগেই চুক্তি হয়ে থাকা। আমি অনেক ভাগ্যবান যে এত সুন্দর সুন্দর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি যেমন, বাঁধাই দো, চুপকে চুপকে ও হিট।
এটা কি সত্যি যে বাঁধাই দো সিনেমায় আপনি একজন সমকামীর চরিত্রে অভিনয় করবেন যে এক সমকামী মেয়েকে বিয়ে করে?
বাঁধাই দো সিনেমার গল্প নিয়ে আমি কিছু জানাতে পারছি না। শুধু এটুকুই বলতে পারি, এগুলো সব জল্পনা। বড় হৃদয়ের অসাধারণ একটা গল্প, যেখানে সুন্দর কিছু চরিত্র আছে।
সিনেমা হল ও ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নিয়ে যে বিতর্ক চলছে, তাতে আপনি কোন পক্ষে?
ওটিটি নিঃসন্দেহে একটা শক্তিশালী মাধ্যম এবং এর শক্তিকে আপনি অস্বীকার করতে পারবেন না। সিনেমা সবসময়ই থাকবে, কিন্তু ওটিটি দর্শকদের অনেক কাছে পৌঁছে গিয়েছে। সিনেমা দেখা হয় সবার মাঝে বসে, কিন্তু ওটিটি আপনাকে নিজের মতো করে কিছু দেখার অভিজ্ঞতা দেয়। আমি এটা নিয়েই খুশি যে, আমাদের হাতে এখন অনেক বিকল্প আছে, হোক সেটা সিনেমা বা ওটিটি।
২০২০ সালের কোন কাজগুলো আপনার ভালো লেগেছে?
আংরেজি মিডিয়ামে ইরফান খানের অভিনয় খুব ভালো লেগেছে, দিল বেচারায় সুশান্ত সিং রাজপুত, পাতাল লোকে জয়দীপ আহলাওয়াত ও স্বস্তিকা মুখার্জি, স্ক্যামে প্রতীক গান্ধী, আন্দেখিতে হর্ষ ছায়া স্যার, মির্জাপুরে রাসিকা দুগাল, দিভেন্দু শর্মা, পঙ্কজ ত্রিপাঠি, আলি ফজল, ব্রিথ ২ এ আমিত সাধের অভিনয় অসাধারণ ছিল। আন্তর্জাতিক কাজের মধ্যে আই নো দিস মাচ ইজ ট্রু সিনেমায় মার্ক রাফালোর অভিনয় ভালো লেগেছে। এই চরিত্রগুলো এ বছর আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে।
আগামী বছর নিয়ে আপনার চিন্তা কী?
আমার যে কাজগুলো আছে, তা নিয়ে ব্যস্ত থাকব এবং আশা করছি ২০২১ সালে এই মহামারি থাকবে না।