‘অভিনয়’ গান দিয়ে ভালোভাবেই ফিরেছেন মাঈনুল আহসান নোবেল। রক ঘরানার গানে নিজের গায়কীতে শ্রোতাদের মাত করে দিয়েছেন তিনি। এর পরপরই খবর এসেছে প্রথমবারের মতো দেশের সিনেমায় প্লে-ব্যাক করবেন ২৩ বছর বয়সী এই কণ্ঠশিল্পী। এসব বিষয় নিয়ে নিউজবাংলার সঙ্গে কথা বলেছেন নোবেল।
আপনার মৌলিক গান নেই- অনেকদিন এই কথা শুনতে হয়েছে আপনাকে। ‘অভিনয়’ গানটি তার একটি ভালো জবাব হলো; কী বলেন?
‘আমি এটাকে জবাব বলতে রাজি না। কারণ, আমার শ্রোতারা তো আর আমার প্রতিপক্ষ না, তারা আমারই দলে। তাদের জবাব দেয়ার কিছু নাই। তারা গানটি পছন্দ করেছেন, এজন্য তাদের ধন্যবাদ। তাছাড়া রেকর্ডের আগে আহমেদ রিজভীর গানটি আমারও খুব পছন্দ হয়, তাই গানটি করতে রাজি হয়ে যাই।’
গানটি পছন্দ না হলে কি গাইতেন না?
‘হ্যাঁ, ব্যাপারটা তেমনই। গানটি প্রথম যখন আমার কাছে আসে তখনই এর কথা এবং সুর আমার পছন্দ হয়। গানটির সুর মূলত আমাকে চিন্তা করেই করা।’
নতুন আর কয়টি সিঙ্গেলস করার পরিকল্পনা আছে?
‘আপাতত একটি। সুফি ঘরানার একটি গান করব। জানুয়ারিতে শ্রোতারা শুনতে পাবেন বলে আশা করছি। সুফির সঙ্গে একটু রকের ছোঁয়াও থাকবে।’
সিঙ্গেলস থেকে আপনার ইনকাম কেমন হচ্ছে?
‘শিল্পীদের ইনকামের মূল জায়গা হলো স্টেজ শো। সেটা আপাতত হচ্ছে না। সিঙ্গেলস থেকে কিছু ইনকাম হয়, এটা ঠিক। কিন্তু আমার এখন ইনকামের কথা ভাবার বয়স না। আমার টার্গেট ভালো ভালো কাজ করা।’
কণ্ঠশিল্পীদের একটা কমন স্বপ্ন সিনেমায় গান গাওয়া। সেই যাত্রা শুরু হলো। কেমন লাগছে?
‘এটা তো সৌভাগ্যের বিষয়। আমি বেশ তাড়াতাড়ি সিনেমার জন্য গান গাইতে যাচ্ছি। সেপ্টেম্বরে গানটি হয়তো শ্রোতারা শুনতে পাবেন। গানে আমার গায়কী পাওয়া যাবে। সঙ্গে থাকবে একটু অ্যাকুয়েস্টিক ও কয়ার স্টাইল।’
নিজের গায়কীর বাইরে কখনো গান গাইবেন? অন্যভাবে বললে, নিজেকে ভেঙে গান গাইবেন কি না?
‘সা রে গা মা পা- আমাকে ভাঙতে শিখিয়েছে। যেমন আমি কখনোই ভাবিনি সলিল চৌধুরীর গান গাইতে পারব। কিন্তু সা রে গা মা পা- তে গেয়েছি। একে একে সুফি গান গাইলাম, গজল গাইলাম। তো ভাঙার বিষয়টা আমার মধ্যে আছে। কিন্তু এটা নির্ধারণ করতে আরও ৫ বছর সময় লাগবে। আমি কোন ধরনের গান গাইব তা অনেকখানি নির্ভর করে আমার শ্রোতাদের উপরে।’
আপনি অভিনয় করতে চেয়েছেন, তাও আবার ভিলেন চরিত্রে। বিষয়টা আসলে কী?
‘ওটা মজা করে বলেছি। ছোটবেলায় চাচ্চুর সঙ্গে অভিনয় করেছি, বাবার সঙ্গেও করেছি। তখন দেখতাম চাচ্চু ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করতেন। আর ওটাই আমার ভালো লাগত। সেই কথা মনে করে বলেছিলাম যে অভিনয় করলে ভিলেন চরিত্রে অভিনয় করব।’
নোবেল বিতর্ক তৈরি করে আলোচনায় থাকতে চায়- এমন কথা কেন শোনা যায়?
‘প্রথমত যারা আলোচিত তারাই সমালোচিত হন। দ্বিতীয়ত, এখন আমার বয়স কম, অনেক কিছু হুট করে হয়ে যায়। আমি বোঝার আগেই হয়ে যায়। আশা করি, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিষয়গুলো ঠিক হয়ে যাবে। আমার বাবাও বলেছেন, এগুলো ঠিক হয়ে যাবে। আমি কখনোই বিতর্কে থাকতে চাই না। আমি শ্রোতাদের কখনোই হার্ট করতে চাই না।’
এও শোনা যায় নোবেল সিনিয়রদের সম্মান করে না। এ বিষয়ে কী বলবেন?
‘আমি যদি সিনিয়রদের সম্মান না করি, তাহলে তাদের গান গাই কী করে। আমি আমার জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করি বড়দের গান দরদ দিয়ে, ঠিক করে গাইতে। সেটা তো সম্মান না থাকলে হবে না। সংগীতাঙ্গনের সবাইকেই আমি সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। আর এটা যদি না থাকত, তাহলে সৃষ্টিকর্তা আমাকে গান গাইতে দিতেন না।’
আপনার আইডল কে?
‘আমার বাবা। ব্যক্তি জীবনেও, সংগীত জীবনেও।’