ন ডরাই সিনেমার চিত্রনাট্যের জন্য ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার হয়েছেন মাহবুব রহমান। তার এই পুরস্কারপ্রাপ্তি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বলা হচ্ছে ন ডরাই সিনেমাটির চিত্রনাট্য করেছেন কলকাতার শ্যামল সেনগুপ্ত।
বিষয়টি নিয়ে ন ডরাই সিনেমার প্রযোজক এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত চিত্রনাট্যকার মাহবুব রহমান ৭ ডিসেম্বর কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে।
আলাপে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, শ্যামল সেনগুপ্ত ন ডরাই সিনেমার চিত্রনাট্য করেছেন। কিন্তু সেটা প্রথম পর্যায়ে। তারপর অনেকবার চিত্রনাট্য পরিবর্তন হয়েছে। যে চিত্রনাট্যে সিনেমটি নির্মত হয়েছে, সেটার ষাট শতাংশ কাজ আমার করা। আমার নির্দেশনায় চিত্রনাট্যে আরও কাজ করেছেন পরিচালক তানিম রহমান অংশু, হিন্দোল রায়।’
চিত্রনাট্য প্রস্তুতে শ্যামল সেনগুপ্তের অবদান স্বীকার করেছেন মাহবুব রহমান। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা ঠিক যে চিত্রনাট্য প্রস্তুতে তিনি অনেক কাজ করেছেন। এর পেছনে তিনি শ্রম দিয়েছেন নয় থেকে দশ মাস।’
তাহলে কেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য জমা দেয়া তালিকায় চিত্রনাট্যকার হিসেবে শ্যামল সেনগুপ্তের নাম ব্যবহার করা হলো না? উত্তরে মাহবুব রহমান বলেন, ‘মূল চিত্রনাট্যটির বেশিরভাগ অংশ যেহেতু আমাদের করা, তাই সবার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তালিকা জমা দেয়ার সময় চিত্রনাট্যকার হিসেবে আমার নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
‘তাছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য যাদের নাম পাঠানো হয়, তাদের ন্যাশনাল আইডি কার্ডসহ (এনআইডি) বিভিন্ন তথ্য জমা দিতে হয়। শ্যামল সেনগুপ্ত যেহেতু বাংলাদেশি নন, তাই তার নাম দেয়া যাচ্ছিল না।’
আইএমডিবিতে ন ডরাই সিনেমার পেজ
অথচ ইন্টারন্যাশনাল মুভি ডাটাবেজ (আইএমডিবি), উইকিপিডিয়াতে ন ডরাই সিনেমার চিত্রনাট্যকার হিসেবে শ্যামল সেনগুপ্তের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। কেন?
এর ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে মাহবুব রহমান বলেন, ‘এটা তো ঠিক যে সিনেমার প্রি-প্রোডাকশনের প্রথমদিকে শ্যামল সেনগুপ্ত চিত্রনাট্যের কাজটি করেছিলেন। আর তখনই আমরা আইএমডিবি ও উইকিতে এন্ট্রি করি। যেহেতু শ্যামল সেনগুপ্ত একটি বড় নাম এবং গুণী মানুষ, তাই তার প্রতি সম্মান জানিয়ে আমরা তার নাম ব্যবহার করেছি।’
নিউজবাংলাকে মাহবুব রহমান এও জানান, শ্যামল সেনগুপ্ত সবার কাছেই সম্মানিত ব্যক্তি। আমরা কেউ চাইনা বিষয়টা নিয়ে আমাদের কারো সম্মানহানী হোক।
যথার্থ তথ্য সরবরাহের মাধ্যমেই কাজটি হয়েছে বলে মনে করেন মাহবুব রহমান।