বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

তকদীরের জন্য গোরস্তানে চঞ্চল চৌধুরী

  •    
  • ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৯:১৬

‘যারা দিনের পর দিন লাশবাহী গাড়ি চালান, জীবন নিয়ে তাদের চিন্তাটা কেমন? মৃত্যুকে সে কীভাবে দেখে- এগুলোর একটা ব্যাখ্যা আছে তকদীরে। এমন পরিস্থিতিতে সে কতটা মানবিক বা অমানবিক এই ব্যাপারগুলো আছে সিরিজে।’ বলেন চঞ্চল চৌধুরী।

দেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে চঞ্চল চৌধুরী অভিনীত সব সিনেমাই যেন একেকটা মাইলফলক। সম্প্রতি এই অভিনেতা ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচই এর জন্য একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন। সিরিজটির নাম ‘তকদীর’। দেশের বাইরে কোনো অনলাইন প্ল্যাটফর্মের জন্য এটিই চঞ্চলের প্রথম কাজ। আগামী ১৮ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে সিরিজটি।

নতুন এই কাজ নিয়ে সম্প্রতি চঞ্চল চৌধুরী কথা বলেছেন নিউজবাংলার সঙ্গে। জানিয়েছেন এই সিরিজ নিয়ে অদ্ভুত সব অভিজ্ঞতা।

 

চঞ্চল বলেন, ‘আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে এটা আমার প্রথম কাজ। ওটিটির কাজ বলতে মানুষের মধ্যে কিছু প্রচলিত ধারণা আছে। আমার ইচ্ছা ছিল, আন্তর্জাতিক মানের কোনো কাজ যখন করব, সেটা আমার দেশের গল্প হতে হবে। গল্পটা আমার পছন্দ হতে হবে, চরিত্রে নতুনত্ব থাকতে হবে। সর্বপরি আমার প্রতি দর্শকের যে আস্থা আছে, তা যেন বজায় থাকে- কাজটি সেই মানের হতে হবে। 

‘সেই জায়গা থেকেই তকদীরে কাজ করা এবং এটা একেবারেই ভিন্ন একটা গল্প। আমি এত দিন যে কাজগুলো করেছি, তার থেকে ভিন্ন একটি গল্প, ভিন্ন একটি চরিত্র। আমি চাই, যে কাজই করি না কেন, যে চরিত্রই করি না কেন, সেটা যেন দর্শককে মুগ্ধ করে।’

তকদীর সিরিজের পোস্টার

 

তকদীরের গল্পকে চঞ্চল সিনেমার নির্দিষ্ট কোনো ধরনে ফেলতে চান না। তিনি বলেন, ‘তকদীর একটা জীবনের গল্প। একটা ফ্রিজার ভ্যানের ড্রাইভারের গল্প, যে লাশ বহন করে নিয়ে যায়। এমন একটা লাশকে ঘিরেই পুরো কাহিনী।’

‘এটা কী আমরা কখনও চিন্তা করি যে, যারা দিনের পর দিন রাতের পর রাত লাশবাহী গাড়ি চালান, তাদের পেছনে একটা লাশ থাকে। জীবন নিয়ে ওর চিন্তাটা কেমন, মৃত্যুকে ও কীভাবে দেখে- এগুলোর একটা ব্যাখ্যা আছে তকদীরে। এমন পরিস্থিতিতে সে কতটা মানবিক বা অমানবিক এই ব্যাপারগুলো আছে সিরিজে। লাশ ওর কাছে একবার খুব সহজ, আবার খুব মায়ার। কারণ লাশটা হয়ত দাফন করার কেউ নেই।

কাজটা করতে কী কী বাধা পেরুতে হয়েছে চঞ্চলকে- তা জানালেন নিজ মুখেই।

বলেন, ‘বাধা তো ছিলই। কারণ বেশিরভাগ শুটিং হয়েছে আউটডোরে। করোনার মধ্যে সেপ্টেম্বর থেকে আমরা শুটিং করেছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেছি।  

‘কিছু কিছু লোকেশন ছিল যেখানে আমি আগে কখনো যাইনি। যেমন বরফকলে শুটিং করেছি। বরফকলে অদ্ভুত রকমের দৃশ্য আমরা পেয়েছি। তারপর গোরস্তানে শুটিং ছিল। সবসময় এমন জায়গায় গিয়ে কাজ করা হয় না। একদম আসল অনুভূতি নেয়ার জন্য এসব জায়গায় যাওয়া।’

সব চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার সুযোগটা সবসময় থাকে না- মন্তব্য করে পরিশ্রমী এই অভিনেতা বলেন, ‘তকদীরের চরিত্রে আমি এই সুযোগটা পেয়েছি। চরিত্রকে ধারণ করার সুযোগ হয়েছে।’

 

সহশিল্পীরা তকদীরে চঞ্চলের কাজের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। অনেকে বলেছেন, এই সিরিজেও চঞ্চল অনেক পরিশ্রম করেছেন।

নিউজবাংলাকে চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তকদীরে কী আছে- এটা ১৮ তারিখেই দর্শক বুঝতে পারবেন।’

চঞ্চল চৌধুরীকে দর্শক কমেডি চরিত্রে যেমন দেখেছেন, বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিল আছে- এমন চরিত্রেও দেখেছেন।

কোন ধরনের কাজ বেশি পছন্দ তা জানিয়ে চঞ্চল বলেন, ‘সব চরিত্রই কঠিন। কমেডির ব্যাখ্যা আসলে আমাদের দেশে বদলে গেছে। কমেডি আর কমেডির পর্যায়ে নেই। এটা এখন ভাঁড়ামির পর্যায়ে চলে গেছে। সে কারণে কমেডি কথাটা উচ্চারণ করতেও বিব্রত লাগে।

‘কমেডির অভিনয় কিন্তু খুব কঠিন। কমেডির একটা চরিত্রে নিজেকে নিয়ে যাওয়া সহজ না। আমি অভিনয় দিয়ে মানুষের মনোরঞ্জন করি। সেই মনোরঞ্জন যে শুধু মানুষকে হাসিয়ে করতে হবে- তা কিন্তু নয়। তাই কোনো ধরনের চরিত্রই আমার কাছে কম গুরুত্বপূর্ণ না।’

জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, ‘তথাকথিত কমেডি বা শুধু মানুষকে হাসানোর জন্য আমি এক সময় কাজ করেছি। কিন্তু যে কাজের পেছনে একটা চিন্তা আছে বা যে কাজ মানুষকে ভাবায়- এমন কাজ করতেই আমি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।’

 

নিজের পছন্দের চরিত্র কোনটা সে প্রশ্ন প্রায় সব অভিনেতাই এড়িয়ে চলেন। চঞ্চলও এর ব্যতিক্রম নন।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘আমার পছন্দের চরিত্র কোনটা আমি কখনোই তা বলতে চাই না। সিনেমার যে চরিত্র যেগুলো আছে, সেগুলোকে মনে হয় আমার চরিত্রের কাছাকাছি। কিন্তু একশো ভাগ স্যাটিসফ্যাকশন কোনো চরিত্রেই পাইনি। দর্শক যখন কোনো চরিত্র পছন্দ করে তখন নিজের মধ্যে এক ধরনের আনন্দ হয়। সেই সাফল্য নিয়েই আমি আরেকটা চরিত্র নিয়ে আগাই।’

এ বিভাগের আরো খবর