দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন গুণী অভিনেতা তারিক আনাম খান। প্রথমবার পেয়েছিলেন সেরা খল চরিত্রের অভিনেতা হিসেবে। কিন্তু এবার অনন্য মামুন পরিচালিত আবার বসন্ত সিনেমায় অভিনয়ের জন্য পেলেন শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার।
এ নিয়ে হাসতে হাসতে নিজের অনুভূতি জানালেন নিউজবাংলাকে। তিনি বলেন, ‘ভালো তো অবশ্যই লাগছে। যেকোনো স্বীকৃতি ভালো কাজ করার অনুপ্রেরণা দেয়। সিনেমাটা নিরীক্ষাধর্মী একটা গল্প নিয়ে। গতানুগতিক তরুণ-তরুণীর প্রেম নয় এবং জীবনের অন্য একটা সমস্যার কথা বলা হয়েছে, যা একেবারেই ভিন্ন ধরনের কাজ।’
পুরস্কারের কৃতিত্ব একা নিতে নারাজ তারিক আনাম। জানান, পুরো টিম এই পুরস্কারের ভাগীদার। কারণ, কোনো কাজই একা করা যায় না।
‘আমি যে সিনেমার জন্য পুরস্কৃত হলাম, সেই সিনেমা যদি এই ধরনের চলচ্চিত্র নির্মাণে অন্যদের উৎসাহ যোগায়, তাহলেই এই পুরস্কার সার্থক বলে মনে করব।’
সিনেমা কিভাবে দেখেন তাও জানালেন মঞ্চ, টেলিভিশন ও সিনেমা জগতের এই গুণী অভিনেতা, ‘সব ধরনের কাজই হওয়ার দরকার আছে। আমি সিনেমাকে দেখি দুইভাবে। একটা একেবারেই বিনোদনধর্মী ছবি, আরেকটা যেটা মানুষকে নিয়ে, সমাজকে নিয়ে ভাবায় এমন ছবি।’
তারিক আরাম খান পুরস্কার পাওয়া নিয়ে যেমন আনন্দিত, তেমনি কিছুটা দুঃখপ্রকাশও করলেন সিনেমাটিতে কাজ করা অন্যদের জন্য।
‘সিনেমাটি যদি অন্যান্য বিভাগে পুরস্কার পেত, তাহলে আরও বেশি ভালো লাগত। তবে জুরি বোর্ড আমাদের এইটুকু দেয়ার যোগ্য মনে করেছেন এ জন্য তাদের ধন্যবাদ।’
তারিক আনামের পরবর্তী সিনেমাও অনন্য মানুনের সঙ্গে। মিডিয়া জগৎ নিয়ে তৈরি সিনেমার নাম মেকআপ। তাতে নিজের চরিত্র নিয়ে বলেন, ‘এই সিনেমায় আমার চরিত্রকে আসলে নেতিবাচক বলব না। চরিত্রের প্রয়োজনে সে কখনো নেতিবাচক আচরণ করবে, কখনো করবে ইতিবাচক আচরণ।’
নুরুল আলম আতিকের পেয়ারার সুবাস নিয়ে কাজ করেছেন এরই মধ্যে। সিনেমার গল্প বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে। সিনেমাটি মুক্তি পেতে পারে আগামী বছর।
তারিক আনাম খান এখন কাজ করছেন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম জি ফাইভের জন্য শিহাব শাহিনের যদি কিন্তু তবুও সিনেমায়। রোমান্টিক-কমেডি ঘরানার সিনেমা এটি।
বাংলাদেশের সিনেমার ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা বলেন তিনি, ‘বাংলাদেশের সিনেমা এখন বেশ খারাপ একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। সিনেমা হল নাই, দর্শক হল বিমুখ, করোনাকালীন সময়। এই অবস্থায় নতুন কিছু যদি তৈরি হয় সেটা অবশ্যই ভালো। ওটিটি প্ল্যাটফর্মগুলো সেদিক থেকে এখন ভালো কাজ করছে।’