হন্তদন্ত অবস্থায় ছিলেন সুনেরাহ। ফোন ধরতেই তা পরিষ্কার বোঝা গেল। রাস্তার শব্দ আর নিজেও ছিলেন তাড়াহুড়োর মধ্যে। এত ব্যস্ততার মধ্যেও আনন্দটা ঠিকই প্রকাশ পেল কণ্ঠে।
আনন্দ তো হবেই। কারণ বৃহস্পতিবার ২০১৯ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্তদের তালিকায় শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে রয়েছে তার নাম, সুনেরাহ বিনতে কামাল।
প্রথম সিনেমাতেই পেয়ে গেলেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেশীয় চলচ্চিত্রে সর্বোচ্চ পুরস্কার। ব্যস্ততার মধ্যে খবরটি এসেছে তার কাছে, কিন্তু আনন্দটা তখনও উদযাপন করতে পারেননি সুনেরাহ।
নিউজবাংলাকে সুনেরাহ বলেন, ‘আমি শুনেছিলাম যে আমার নাম আছে মনোনয়নে। কিন্তু পুরস্কারটা যে আমি পাব তা তো আর জানতাম না। এমনকি আমি এটাও জানতাম না যে, আজকেই নাম ঘোষণা হবে।’
সুনেরাহ বিনতে কামাল যখন এসব কথা বলছেন, তখনও তিনি খবরের শিরোনাম পড়েননি। শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগের পাশে তার নামটি তখনও দেখেননি তিনি। ‘তারপরও অনেক ভালো লাগছে। প্রথম সিনেমাতেই পুরস্কার পাব ভাবিনি কখনও।’ বললেন সুনেরাহ।
প্রথম সিনেমাতেই এত বড় পুরস্কারটাকে কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? এটা কী বেশি পাওয়া? ‘এই অর্জনকে আমি বেশি পাওয়া বলব না। আমি বিশ্বাস করি মন দিয়ে কোনো কাজ করলে তার ফল পাওয়া যায়। আমি মন দিয়ে কষ্ট করে সিনেমায় কাজ করেছি। এই পুরস্কারের মাধ্যমে আমি তার ফল পেলাম।’
ন ডরাই সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন সুনেরাহ। সিনেমাটিতে রয়েছে নারীর গণ্ডি ভেঙে বেরিয়ে আসার বার্তা। সঙ্গে রয়েছে সার্ফিংয়ের গল্প। তাই সিনেমার জন্য অভিনয় শিল্পীদের প্রয়োজন ছিল প্রস্তুতির। সাগরের নোনা জল আর গরম বালুতে প্রচণ্ড কষ্ট করেছেন সুনেরাহসহ অন্যান্য শিল্পীরা।
সুনেরাহ বলেন, ‘যখন আমরা শুটিং করতাম, তখন অনেকেই বলত যে, আমার ভালো কিছু হবে। সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পরও অনেকে বলেছে যে, আমি পুরস্কার পাব। আমি পুরস্কার নিয়ে তেমন আশাবাদী ছিলাম না। কিন্তু ভালো লাগত কথাগুলো।’
সেই কথা এখন সত্যি হয়েছে। সুনেরাহ তার পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেয়েছেন। অনেকদিন ধরেই ফ্যাশন মিডিয়ায় কাজ করছেন সুনেরাহ।
কখনও কি ইচ্ছা ছিল সিনেমায় কাজ করার? এমন প্রশ্নে হাসতে হাসতে সুনেরাহর উত্তর, ‘ছিল মানে, সিনেমায় কাজ করার ইচ্ছা অনেক আগে থেকেই। ছোট বেলা থেকে নায়িকা হওয়ার ইচ্ছা।’
তাহলে নায়িকা হয়ে আবার কবে হাজির হচ্ছেন পর্দায়? সুনেরাহ বললেন, ‘এর মধ্যে অনেকের সঙ্গেই কথা হয়েছে। চুক্তি হলেই সবাইকে জানাতে পারব।’