রূপসা নদীর বাঁকে একটি ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটসংশ্লিষ্ট জীবন কাহিনী ভিত্তিক পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্য রচনা ও পরিচালনা করছেন একুশে পদক বিজয়ী নির্মাতা তানভীর মোকাম্মেল।
বিভিন্ন বয়সে একজন বামপন্থীর জীবনের ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর সম্পৃক্ততা- এই চলচ্চিত্রের মূল বিষয়বস্তু। গল্পের মূল চরিত্রে বয়স অনুযায়ী অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান শোভন, খায়রুল আলম সবুজ ও তাওসিফ সাদমান তূর্য। এটা তানভীর মোকাম্মেল পরিচালিত সপ্তম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।
সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ১১ ডিসেম্বর। বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন তানভীর মোকাম্মেলের সহকারী ওয়াসিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমরা ৩০ নভেম্বর সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছি। আর তারপরেই সিনেমাটি মুক্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
রূপসা নদীর বাঁকে সিনেমার দৃশ্য
সিনেমার পরিচালক তানভীর মোকাম্মেল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর আমরা সিনেমার প্রিমিয়ার করব শিল্পকলায়। আর ১১ ডিসেম্বর থেকে শিল্পকলার জাতীয় চিত্রশালাতেও চলবে সিনেমাটির প্রদর্শনী।’
তানভীর মোকাম্মেল জানান, প্রতি শুক্রবার ও শনিবার বেলা ৩টা, বিকাল ৫টা ৩০ মিনিট এবং রাত ৮টায় টিকিট কেটে রূপসা নদীর বাঁকে সিনেমাটি দেখতে পারবেন আগ্রহীরা।
দুই ঘণ্টা দৈর্ঘ্যের এই চলচ্চিত্রে তিরিশ দশক থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত স্বদেশী আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী জেলা কারাগারের খাপড়া ওয়ার্ডে ৭ জন বামপন্থীদের হত্যাসহ বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ঘটনাসমূহ একজন দেশপ্রেমিক, ভাগ্যতাড়িত চিরকুমার বামপন্থী নেতার জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ণিত হয়েছে।
গল্পের মূল চরিত্র মানবরতন মুখোপাধ্যায়ের মধ্যবয়স চরিত্রে অভিনয় করেছেন জাহিদ হাসান শোভন, বৃদ্ধ সময়ে খায়রুল আলম সবুজ ও তরুণ সময়ের রূপদান করেন তাওসিফ সাদমান তূর্য।
এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন রামেন্দু মজুমদার, নাজিবা বাশার, চিত্রলেখা গুহ, ঝুনা চৌধুরীসহ অনেকে। একটি পুলিশ সুপারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যুক্তরাজ্যের অভিনেতা অ্যান্ড্রু জোনস।