ব্রিটেনের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জীবনের কিছু অংশ নিয়ে তৈরি নেটফ্লিক্স সিরিজ দ্য ক্রাউন। ২০১৬ সালে প্রকাশ হয় এই সিরিজের প্রথম মৌসুম। ব্রিটেনের প্রিন্স ফিলিপের সঙ্গে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বিয়ের ঘটনা দিয়ে প্রথম মৌসুমের গল্প শুরু হয়।
নভেম্বর মাসে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পায় দ্য ক্রাউন সিরিজের চতুর্থ মৌসুম। এই সিরিজে দেখানো হয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের বড় ছেলে, প্রিন্স চার্লসের সঙ্গে প্রিন্সেস ডায়ানার বিয়ে ও বৈবাহিক জীবন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান তাদের প্রতিবেদন বলছে, সিরিজটির চতুর্থ মৌসুম মুক্তি পেয়েছে ১৫ দিন হলো। এর মধ্যেই যুক্তরাজ্যের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অলিভার ডোডেন নেটফ্লিক্সকে একটি চিঠি লেখার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সেই চিঠিতে তিনি নেটফ্লিক্সকে অনুরোধ করবেন দ্য ক্রাউন সিরিজ দেখানোর আগে সিরিজের ঘটনাবলীকে কাল্পনিক গল্প বলে সতর্ক বার্তা দেয়ার।
অলিভার ডোডেন ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলকে বলেন, ‘এই সতর্কীকরণ বার্তা না দিলে যুবসমাজ এই কাল্পনিক ঘটনাগুলোকে সত্য বলে মনে করবে।’
দ্য ক্রাউন সিরিজের চতুর্থ মৌসুমে শিল্প স্বাধীনতার অপব্যবহার করা হয়েছে এবং মনগড়া ঘটনা দিয়ে গল্প সাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন অলিভার ডোডেন।
তিনি বলেন, ‘এটা খুব সুন্দর একটা কাল্পনিক গল্প। তাই নেটফ্লিক্সের অন্যান্য সিরিজগুলোর মতোই শুরু থেকেই এ বিষয়টা পরিষ্কার থাকা উচিত যে, এটা শুধুই কাল্পনিক। এই সতর্ক বার্তা না থাকলে দর্শকরা একে সত্য বলে মনে করবে।’
সিরিজটির নির্মাতা পিটার মরগ্যান। রাজপরিবারের সদস্যদের বাস্তবিকভাবে দেখানোর জন্য দ্য ক্রাউন সিরিজটি দর্শকদের মাঝে প্রশংসিত হয়েছে। অন্যদেক প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বৈবাহিক জীবনের সমস্যা ও বিশ্বাসঘাতকতার ঘটনা দেখতে গিয়ে অনেক দর্শক বিরক্ত হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন, প্রিন্স চার্লস ও প্রিন্সেস ডায়ানার বৈবাহিব জীবনের সমস্যার ঘটনা তারা অনেকবার পড়েছেন। যা লিপিবদ্ধও আছে। এই ঘটনা দেখতে তাদের আর ভালো লাগছে না।
নেটফ্লিক্স এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে ক্রাউন সিরিজকে তারা প্রচার করেছে সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত ড্রামা সিরিজ বলে।