বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হিন্দি সিনেমা আনতে এবার রাজি সবাই

  •    
  • ২৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৮:২৮

এই প্রথমবারের মতো ভারতীয় সিনেমা আনার প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক উভয় সমিতি। এর আগে এ রকম প্রস্তাবে তারা বরাবর আপত্তি জানিয়ে এসেছিল।

সিনেমা নেই। যে অল্প কিছু সিনেমা হল টিকে আছে, সেগুলোও ফাঁকা পড়ে আছে। এ অবস্থায় হল সচল রাখতে তথ্যমন্ত্রীর কাছে বছরে ১০টি বলিউডি হিন্দি সিনেমা আমদানির প্রস্তাব দিয়েছে প্রদর্শক সমিতি।

এই প্রথমবারের মতো এ ধরনের একটি প্রস্তাবে সমর্থন দিয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক উভয় সমিতি। এর আগে এ রকম প্রস্তাবে বারবার আপত্তি জানিয়ে আসছিল চলচ্চিত্র নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত দুই প্রভাবশালী সমিতি।  

করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে না কোনো সিনেমা। বিশ্ব সুন্দরী, শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ টু, বিদ্রোহী, মিশন এক্সট্রিম, শান, পরান, জ্বীন, বিক্ষোভ, ক্যাসিনো, আনন্দ অশ্রুসহ আরও বেশি কিছু সিনেমা প্রস্তুত রয়েছে মুক্তির জন্য। কিন্তু বেশি বাজেটের এই সিনেমাগুলো ভালো ব্যবসা করতে পারবে কি না, এই শঙ্কায় মুক্তি দিচ্ছেন না প্রযোজকেরা।

২০১৫ সালে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় সালমান খান অভিনীত হিন্দি সিনেমা ওয়ান্টেড। সাফটা চুক্তির আওতায় আমদানি করা হয়েছিল ছবিটি। সেবার এ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধে সবার সমানে থেকে বিরোধিতা করেন পরিচালক ও প্রযোজক সমিতির নেতা মুশফিকুর রহমান গুলজার ও খোরশেদ আলম খসরু।

 

শুধু তাই নয়, ২০১৭ সালে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা নবাব ও বস ২ প্রদর্শনেও তারা বিরোধিতা করেন চলচ্চিত্রের ১৮টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত ‘চলচ্চিত্র পরিবার’-এর ব্যানারে।

‘কিন্তু এবার তারা সবাই কেন সমর্থন জানাচ্ছেন হিন্দি ভাষার সিনেমা আমদানিতে?’

‘কারণ প্রদর্শকরা আমাদের কাছে সিনেমা চাইছেন। কিন্তু আমরা তাদের সিনেমা দিতে পারছি না। এতে করে হল মালিকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ব্যক্তিগতভাবে আমি মনে করি বছরে ১০টি বলিউড সিনেমা আসুক’, জবাবে নিউজবাংলাকে বলেন প্রযোজক নেতা খোরশেদ আলম খসরু।

পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার বলেন, ‘সরকার হল সংস্কার ও নির্মাণে হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন করতে বলেছেন। কিন্তু সিনেমা হলে যদি সিনেমা না থাকে, তাহলে হল মালিকেরা তাদের হল সংস্কার করবেন কীভাবে?’

তিনি আরও বলেন, ‘বছরে ১০টি বলিউডি সিনেমা আমদানি করে প্রেক্ষাগৃহকে চাঙা রাখা যেতে পারে। পরবর্তীতে পরিস্থিতি ভালো হলে দেশের সিনেমা মুক্তি দেয়া যাবে।’

তবে হিন্দি সিনেমা দেখানোর ক্ষেত্রে এখনও জানা যায়নি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্রতিক্রিয়া। অতীতে তারাও বিরোধিতা করেছে এসেছে এ উদ্যোগে।

এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে পরিচালক, প্রযোজক ও শিল্পী সমিতির মতামত নেয়ার কথা বলেছেন তথ্যমন্ত্রী। সে রকম কোনো বৈঠক এখনও অনুষ্ঠিত হয়নি। 

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমি অনেকের কাছ থেকেই শুনছি বিষয়টা। কিন্তু এ ব্যাপারে আলোচনার আমন্ত্রণ বা কোনো চিঠি এখনও পাইনি আমরা।’

চিঠি পেলে কী করবেন, জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ‘যদি চিঠি পাই, তাহলে তো আমি একা সিদ্ধান্ত নিতে পারব না। আমার কার্যনির্বাহী কমিটি এবং সিনিয়রদের সঙ্গে কথা বলে তারপর এই সিদ্ধান্তে আসতে পারব।’

তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বছরে ১০টি বলিউডের সিনেমা আমদানির পক্ষে যদি চলচ্চিত্রের সব পক্ষ রাজি থাকে, তাহলে এমন সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হওয়ার কথা না।’

প্রদর্শক সমিতির দেয়া তথ্য অনুযায়ী, ১৬ অক্টোবর হল খুলে দেয়ার নির্দেশের পর চালু হয়েছে মাত্র ৬০টি প্রেক্ষাগৃহ। এই হলগুলোর মানোন্নয়নের জন্য প্রয়োজন সিনেমার ব্যবসা।

‘যেখানে সিনেমাই মুক্তি পাচ্ছে না, সেখানে হলের মানোন্নয়ন কীভাবে হবে’ উল্লেখ করে প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘দেশে যে ২০টির মতো সিনেমা আছে, সেগুলো তো মুক্তি পাচ্ছে না। যদি বিদেশি সিনেমা মুক্তি পায়, তাহলে দর্শকরা সিনেমা হলে আসতে আগ্রহী হতে পারে। এতে করে ব্যবসা পেলে হল মালিকরাও আগ্রহী হবেন হলের মানোন্নয়নে। যেহেতু দেশি সিনেমা নেই, তাই বিদেশি সিনেমা আমদানি এখন খুব প্রয়োজন।’

এ বিভাগের আরো খবর