বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সহজ হবে না বলিউডের সিনেমা আমদানি

  • প্রতীক আকবর, ঢাকা   
  • ২৫ নভেম্বর, ২০২০ ২১:৫৭

দেশের হলগুলোতে সিনেমা পাঠানো হয় পেনড্রাইভে বা হার্ডডিস্কে। কিন্তু বলিউডের সিনেমা আসবে ডিসিপি ফরম্যাটে। এই ফরম্যাটে সিনেমা দেখাতে প্রয়োজন উন্নতমানের প্রক্ষেপণ সিস্টেম ও সাউন্ড চ্যানেল।

করোনা পরিস্থিতির কারণে মুক্তি পাচ্ছে না দেশের সিনেমা। ফলে ফাঁকা পড়ে আছে বা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহগুলো। তাই হল চালু রাখতে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির পক্ষ থেকে বছরে দশটি করে বলিউডের সিনেমা আমদানি করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়ে।

এই প্রস্তাব বেশ ভালোভাবেই আমলে নিয়েছে তথ্য মন্ত্রণালয়। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অন্য সমিতিগুলোও, বিশেষ করে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি ও শিল্পী সমিতি এই প্রস্তাবের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। প্রযোজক নেতারাও আছেন প্রস্তাবের পক্ষে।

কিন্তু সরকার অনুমতি দিলেই কী বলিউডের সিনেমা আমদানি করে প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন শুরু করা যাবে? উত্তরে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিষয়টা এতো সহজ হবে না। কারণ বলিউডের সিনেমা প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শন করতে গেলে হলগুলোতে ভালো প্রযুক্তির প্রক্ষেপণ ব্যবস্থা লাগবে, যা দেশের কয়েকটি সিনেপ্লেক্স ছাড়া অন্য হলগুলোতে নেই।’

তিনি জানান, দেশের হলগুলোতে সিনেমা পাঠানো হয় পেনড্রাইভে বা হার্ডডিস্কে। এই ডিভাইস থেকে সিনেমা দেখাতে যে সিস্টেমের প্রয়োজন হয়, তা দেশের প্রেক্ষাগৃহগুলোতে আছে। কিন্তু বলিউডের সিনেমা আসবে ডিসিপি (ডিজিটাল সিনেমা প্যাকেজ) ফরম্যাটে। এই ফরম্যাটে সিনেমা প্রদর্শন করতে প্রয়োজন হবে উন্নতমানের প্রক্ষেপণ সিস্টেম এবং সাউন্ড চ্যানেল।

চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা সুদীপ্ত কুমার দাস

প্রেক্ষাগৃহে প্রযুক্তিগত উন্নয়ন করতে প্রয়োজন অর্থ। কিন্তু হল মালিকরা কী এখন তাদের প্রেক্ষাগৃহ উন্নয়ন করতে আগ্রহী- এ প্রশ্ন রেখে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘না, এই মুহূর্তে মালিকরা তাদের হল উন্নয়ন করতে আগ্রহী নন। তবে দেশে যদি বেশি সিনেমা হয় এবং মুক্তি পেতে থাকে বা বলিউডের সিনেমা আমদানি শুরু হয়, তাহলে অনেকই আশা করি আগ্রহী হবেন।’

তিনি জানান, করোনায় হল মালিকদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সরকার হাজার কোটি টাকার তহবিল ঘোষণা করেছে। স্বল্প সুদে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ নেয়ার মাধ্যমে সিনেমা হলের সংস্কার করবেন হল মালিকেরা। কিন্তু কারা এই সুবিধা পাবেন বা কারা এই ঋণ নিতে আগ্রহী, সেই তালিকা প্রস্তুতের কাজ শুরু হয়নি এখনও।

সুদীপ্ত জানান, এই ঋণ সুবিধা পাওয়ার পরই হয়তো হল মালিকরা তাদের প্রেক্ষাগৃহ উন্নয়নের কাজ করতে আগ্রহী হবেন। সব মিলিয়ে আসলে আরও কিছু সময়ের ব্যাপার।

 

এই কার্যক্রম সহজ করতে আইনেও কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। একমাত্র সাফটা চুক্তির আওতায় উপমহাদেশের সিনেমা আদান-প্রদান করার সুযোগ আছে। কিন্তু একই দিনে সিনেমা মুক্তি দিতে চাইলে নীতিগত কিছু জটিলতা মুক্ত আইন লাগবে বলেও জানান সুদীপ্ত।

পরিচালক-প্রযোজক-শিল্পী সমিতির নেতারাও বলিউডের সিনেমা আনার ব্যাপারে এখন আর আপত্তি করছেন না। কারণ প্রযোজক বা পরিচালকরা সিনেমা দিতে পারছেন না হল মালিকদের। বেশ কয়েকটি সিনেমা মুক্তি দেয়ার মতো পরিস্থিতিতে থাকলেও 'ভালো পরিবেশের' অপেক্ষা করছেন প্রযোজক-পরিচালকরা।

এ বিভাগের আরো খবর