কিছুদিন আগের কথা, ‘মায়া’ গানটি দিয়ে মায়ার রেশ ছড়িয়ে দিয়েছিলেন তরুণ কণ্ঠশিল্পী ঐশী। মায়া দ্য লস্ট মাদার সিনেমার শিরোনাম সংগীতটির কথা-সুর ও গান শ্রোতাকে দিয়েছে নিজেকে দেখার অবকাশ। গানের এই রেশটা থেমে গেল করোনা পরিস্থিতির কারণে। কিন্তু ঐশীর ব্যস্ততা কমেনি।
‘করোনার মধ্যে কিছুদিন তো অবশ্যই অবসর পেয়েছি। কিন্তু সেই বিরতি বেশিদিনের ছিল না। করোনার মধ্যেই ঘরে থেকে কিছু গান করেছি। আমার বাসায় রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা থাকায় এটা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া অনলাইনে যুক্ত হতে হয়েছে বিভিন্ন আলোচনায় এবং গানের কিছু অনুষ্ঠানে।’ করোনা পরিস্থিতিতে ঘরে বসে যা করেছেন, সেই কথা বললেন ঐশী।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন বা তার ভক্তদের সচেতন করতে ছোট ছোট সচেতনতামূলক ভিডিও নির্মাণ করেছেন তরুণ এই কণ্ঠশিল্পী। তাই এই বিরতি ঐশীকে অবসাদগ্রস্ত করতে পারেনি। তাছাড়া মেডিক্যালের এই শিক্ষার্থী লেখাপড়া করেও সময় কাটিয়েছেন ঘরবন্দি সময়ে।
ঐশী এখন ব্যাস্ত প্লে-ব্যাকে। সিনেমার বেশ কটি গান করছেন এই শিল্পী। আর এসবের খুব অল্পই ধারণ হয়েছে স্টুডিওতে। সংগীত পরিচালক, গীতিকার এবং কণ্ঠশিল্পী সবাই ছিলেন ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। অনলাইনে কথা বলে, বিভিন্ন নির্দেশনার মাধ্যমে তৈরী হয়েছে সেসব গান। ঐশী এই পদ্ধতিতে অভ্যস্ত হচ্ছেন। তবে তার ভালো লাগে সবাই একসঙ্গে বসে কাজ করতে।
‘আমরা ধীরে ধীরে এই প্রক্রিয়ায় অভ্যস্থ হচ্ছি। আলাদা আলাদা জায়গায় থেকেই এখন আমরা গান তৈরি করতে পারি। এই পদ্ধতি আমাদের মধ্যে আগেও ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি এটাকে নিয়মিত ঘটনায় পরিণত করেছে।’
‘তবে আমি সবসময় এনজয় করি সুরকার, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী একসঙ্গে বসে কোনো কাজ করলে। যেমন মায়া গানটি কিন্তু সবাই একসঙ্গে বসে তৈরি করা। তাই এর আবেদনটাও অন্যরকম। গানটি ধারণকরার আগে ইমন চৌধুরী আমার মধ্যে যে অনুভূতি তৈরি করলেন, যার কারণে হয়তো গানটাতে আমি আরও বেশি আবেগ দিতে পেরেছি। এটা অনলাইনে হয়তো সম্ভব হতো না।’ বললেন ঐশী।
সংগীতাঙ্গনের অনেক জায়গাতে এখন ধীরে ধীরে কাজ শুরু হয়েছে। ঐশীকে দেখা গেছে কিছু টিভি অনুষ্ঠানে। সম্প্রতি সফি মন্ডলের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দ্বৈত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এই শিল্পী। সিনেমার জন্য তার গাওয়া বেশ কিছু গান রয়েছে প্রকাশের অপেক্ষায়।