বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

জন্মদিনে শুভেচ্ছায় সিক্ত রুনা লায়লা

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ১৭ নভেম্বর, ২০২০ ১৮:২৩

করোনার কারণে অনেকেই দূর থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাকে। এমন পরিস্থিতিতে তিনিও রাখেননি কোনো আয়োজন।

আর দু বছর পরেই স্পর্শ করবেন সত্তরের ঘর। তাতে কি এসে যায়। লাখো-কোটি ভক্তের ভালোবাসা আর শ্রদ্ধা তাকে হয়তো মনেই হতে দেয় না যে বয়সের সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে ঠেকলো। বরং আনন্দের রেশটাই থেকে যায় সারা দিন।

১৭ নভেম্বর, মঙ্গলবার উপমহাদেশের কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী রুনা লায়লার ৬৮তম জন্মদিন। রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ভরে উঠেছে শুভেচ্ছা বার্তায়। দেশের সংগীতশিল্পীরা তো বটেই, বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সিনেমার তারকারাও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন গুণী এই শিল্পীকে।

নায়ক শাকিব খান লিখেছেন, ‘আপনি অসম্ভব এক অনুপ্রেরণার নাম, পাশাপাশি বিস্ময়ের! সত্যি আমরা খুব ভাগ্যবান যে আমাদের সংগীতে একজন রুনা লায়লা আছেন।

কণ্ঠশিল্পী কোনাল শুভেচ্ছা বার্তায় লিখেছেন, ‘শুভ জন্মদিন কিংবদন্তি। শুভ জন্মদিন আমাদের ভীষণ শ্রদ্ধার, ভালোবাসার, গর্বের ও অহংকারের প্রিয় রুনা লায়লা ম্যাম।’

করোনার কারণে অনেকেই হয়ত দূর থেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাকে। এমন পরিস্থিতিতে তিনিও রাখেননি কোনো আয়োজন। নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘জন্মদিনে কোনো আয়োজন রাখিনি। এই বয়সে আর কিসের আয়োজন। তাছাড়া, এখন পরিস্থিতিও ভালো না।’

রুনা লায়লার জন্মদিন উপলক্ষে অনলাইনে প্রকাশ পেয়েছে রুনা লায়লার সুর করা একটি গান। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ‘এই দেখা শেষ দেখা’ শিরোনামের গানটি গেয়েছেন লুইপা। গানটি প্রকাশ পেয়েছে ধ্রুব মিউজিক স্টেশনের ব্যানারে।

সংগীত জীবনে আটবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। যার মধ্যে ২০১৮ সালে তিনি এই পুরস্কার পান সুরকার হিসেবে।

উর্দু, বাংলা, হিন্দি, পাঞ্জাবী, গুজরাটি, আরবি, ফারসিসহ মোট ১৮টি ভাষায় গান গেয়ে শ্রোতাদের মুগ্ধ করার দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। ১৯৫২ সালের ১৭ নভেম্বর সিলেটে জন্ম হয় বাংলার নাইটিঙ্গেল খ্যাত গায়িকা রুনা লায়লার।

পাকিস্তানি সিনেমায় গান গেয়ে তিনি ক্যারিয়ার শুরু করেন। মাত্র ১২ বছর বয়সে তিনি প্রথম সিনেমায় গান গেয়েছিলেন।

১৯৬৬ সালে ‘হাম দোনো’ সিনেমায় গান গেয়ে তিনি প্রথম জনপ্রিয়তা লাভ করেন। তার গাওয়া গানটির নাম ছিল ‘উনকি নাজরো সে’।

১৯৭৪ সালে তিনি মুম্বাইতে প্রথম কনসার্ট করেন। সে সময়েই পরিচালক জয়দেবের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। জয়দেব রুনা লায়লাকে বলিউডে ও দূরদর্শনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার সুযোগ করে দেন।

হিন্দি ভাষার গান ‘ও মেরে বাবু ছেল ছাবিলা’ এবং ‘দাম দাম মাস্ট কালান্দার’ রুনা লায়লার গাওয়া জনপ্রিয় গান।

‘গানেরি খাতায় স্বরলিপি লিখে’, ‘এই বৃষ্টি ভেজা রাতে চলে যেও না’, ‘অনেক বৃষ্টি ঝড়ে’, ‘সাধের লাউ বানাইলো মোরে বৈরাগী’, ‘বন্ধু তিন দিন’, ‘ইস্টিশনের রেলগাড়িটা’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে তার।

ষ্বাধীন বাংলাদেশকে সংগীতের মাধ্যমে যারা নিয়ে গেছে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে, তাদের মধ্যে রুনা লায়লা অন্যতম। কণ্ঠ আর সুরের মূর্ছনা যিনি পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে মুগ্ধ করে রেখেছেন শ্রোতাদের।

এ বিভাগের আরো খবর