পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য হবে পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের।
রোববার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন।
মমতাকে উদ্ধৃত করে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, স্থানীয় সময় দুপুর ২টার দিকে বেল ভিউ হাসপাতাল থেকে সৌমিত্রের মরদেহ গলফ গ্রিনের বাড়িতে নিয়ে রাখা হবে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। সেখানেই তাকে দীর্ঘদিনের সহকর্মী, টেকনিশিয়ানরা শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ পাবেন।
এরপর স্থানীয় সময় সাড়ে ৩টার মধ্যে সৌমিত্রের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হবে রবীন্দ্র সদনে। সেখানে দুই ঘণ্টা রাখা হবে তাকে। এ সময়ে অভিনেতার অনুরাগী, শুভাকাঙ্ক্ষী, ঘনিষ্ঠরা সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ মরদেহ নিয়ে রওয়ানা করা হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের উদ্দেশে। সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার মধ্যেও গান স্যালুট দিয়ে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে প্রখ্যাত অভিনেতার।
হাসপাতালে টানা ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর রোববার দুপুরে মৃত্যু হয় বাংলা চলচ্চিত্রের স্বনামধন্য অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
তার প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে এসেছে উপমহাদেশের চলচ্চিত্র অঙ্গনে।
কলকাতার মির্জাপুরে জন্মগ্রহণ করা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় অস্কার জেতা সত্যজিতের ৩৪টি সিনেমার মধ্যে ১৪টিতেই অভিনয় করেছেন। কাজ করেছেন মৃণাল সেন, অজয় করের মতো পরিচালকদের সঙ্গেও।
তার অভিনীত ছবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো দেবী, তিন কন্যা, চারুলতা, অরণ্যের দিনরাত্রি, অশনি সংকেত, ঝিন্দের বন্দী, অপরিচিত, তিন ভুবনের পাড়ে, আতঙ্ক, পারমিতার একদিন, বেলা শেষে, ময়ূরাক্ষী।
চলচ্চিত্রের পাশাপাশি অনেক নাটকেও অভিনয় করেছেন; লিখেছেন গান ও নাটক। ছিলেন অসমান্য আবৃত্তিকার।
চলচ্চিত্রে ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘দাদাসাহেব ফালকে’ পুরস্কার ছাড়াও ফ্রান্স সরকারের ‘লিজিয়ন অফ অনার’ পদকে ভূষিত হন এই অভিনেতা। ২০০৪ সালে তাকে ‘পদ্মভূষণ’ খেতাব দেয় ভারত সরকার।