বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রথম জেমস বন্ডের মৃত্যু

  •    
  • ৩১ অক্টোবর, ২০২০ ১৯:২০

অস্কারের পাশাপাশি বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোব জয়ী এ অভিনেতা ২০০০ সালে ব্রিটেনের রানী এলিজাবেথের কাছ থেকে নাইট উপাধি পান।

চলে গেলেন জেমস বন্ড সিরিজের প্রথম সিনেমার নায়ক অস্কার জয়ী অভিনেতা স্যার শন কোনারি।

৯০ বছর বয়সী শন কোনারি শনিবার ৩১ অক্টোবর মারা গেছেন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন।

তিনি স্ত্রী মিশেলিন রকেব্রুন এবং দুই ছেলে জেসন কোনারি ও স্তেফান কোনারিকে রেখে গেছেন।

জেসন কোনারি জানান, কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন স্যার শন কোনারি। ঘুমের মধ্যে বাহামার বাড়িতে শান্তিতে মৃত্যুবরণ করেছেন। এ সময় পরিবারের সদস্যদের কাছে পেয়েছিলেন তিনি।

স্যার শন কোনারির পাবলিসিস্ট ন্যান্সি সেল্টজার জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমলে তার স্মরণে একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।

জেমস বন্ড সিরিজের প্রথম সিনেমা ‘ডক্টর নো’ মুক্তি পায় ১৯৬২ সালে। সিনেমায় জেমস বন্ড চরিত্রে অভিনয় করেন স্কটিশ অভিনেতা স্যার শন কোনারি।

৫০ বছরের অভিনয় জীবনে তিনি জেমস বন্ড সিরিজের মোট সাতটি সিনেমায় অভিনয় করেন। স্যার শন কোনারিকে বলা হতো সর্বকালের সেরা জেমস বন্ড।

তার মৃত্যুতে শোক জানিয়ে বর্তমান জেমস বন্ড অভিনেতা ডানিয়েল ক্রেইগ বলেছেন, ‘সিনেমার অন্যতম সেরাদের একজন ছিলেন তিনি। তিনি পুরো একটি যুগ ও স্টাইলকে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। তার বুদ্ধি ও আকর্ষণীয়তাকে মেগাওয়াট দিয়ে মাপা যেতে পারে। তিনি মডার্ন ব্লকবাস্টার তৈরিতে সাহায্য করেছিলেন।’

স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টুরজেওন বলেন, ‘সকালে পাওয়া স্যার শন কোনারির মৃত্যুর খবরটি আমার জন্য দুঃখজনক ছিল। আমাদের দেশ আজ তার সেরা এক সন্তানের জন্য গভীরভাবে শোকাহত।’ 

১৯৮৭ সালে ‘দ্য আনটাচেবলস’ সিনেমায় ‘জিম মালোন’ চরিত্রে অভিনয়ের জন্য অস্কার পান শন কোনারি। 

অস্কারের পাশাপাশি বাফটা ও গোল্ডেন গ্লোব জয়ী এ অভিনেতা ২০০০ সালে হলিরুড প্যালেসে ব্রিটেনের রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের কাছ থেকে নাইট উপাধি পান।

জেমস বন্ড সিরিজের বাইরে স্যার শন কোনারির উল্লেখযোগ্য সিনেমা হলো, ‘দ্য হান্ট ফর রেড অক্টোবর’, ইন্ডিয়ানা জোনস অ্যান্ড দ্য লাস্ট ক্রুসেড’ ও ‘দ্য রক’।

জেমস বন্ড চরিত্রে তার অভিনীত সাতটি সিনেমা হলো-

ডক্টর নো (১৯৬২)

ফ্রম রাশিয়া উইথ লাভ (১৯৬৩)

গোল্ডফিঙ্গার (১৯৬৪)

থান্ডারবল (১৯৬৫)

ইউ অনলি লিভ টুয়াইস (১৯৬৭)

ডায়মন্ডস আর ফরেভার (১৯৭১)

নেভার সে নেভার অ্যাগেন (১৯৮৩)

সূত্র: বিবিসি

এ বিভাগের আরো খবর