নতুন করে অবস্থার আর অবনতি হয়নি পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের। তার দুটি কিডনিই ঠিকঠাক কাজ না করায় বুধবার ডায়ালাইসিস শুরু করেন বেলভিউ নার্সিংহোমের চিকিৎসকরা।
মূত্রের পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটা কম থাকায় অল্প সময়ের জন্য একাধিক বার ডায়ালাইসিস করতে হবে এ অভিনেতার।
বুধবার রাতের বিশেষ মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়, সৌমিত্রর প্রথম পর্বের ডায়ালাইসিস হয়েছে। তাতে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। তার রক্তচাপ বাড়েনি, কমেওনি। এ ছাড়া শরীরের অন্যান্য মাপকাঠিও স্বাভাবিক রয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ইউরিয়া ও ক্রিয়েটিনিনের পরিমাণ কমাতে ২ থেকে ৩ বার ডায়ালাইসিস হতে পারে অভিনেতার। তার সচেতনতার মাত্রাও কম রয়েছে। সচেতনতার মাত্রা গ্লাসগো কোমা স্কেলে রয়েছে ৯ থেকে ১০-এর মধ্যে। ডায়ালাইসিসের মাধ্যমে এর মাত্রাও বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে।
বুলেটিনে জানানো হয়, এখন ৫০ শতাংশ ভেন্টিলেশন সাপোর্টে রাখা হয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। ফলে নিশ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে না তার। আশার কথা হলো, নতুন করে জ্বর আসেনি; রক্তপাতও হয়নি তার। হিমোগ্লোবিন ও অন্যান্য মাপকাঠিও স্থিতিশীল। মোটামুটি ঠিকঠাক কাজ করছে ফুসফুস।
অক্সিজেন চলছে; ভেন্টিলেশনের অন্যান্য মাপকাঠিও ভালো রয়েছে। তাকে দেয়া হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিকও।
চিকিৎসক দলের প্রধান অরিন্দম কর জানান, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের অবস্থা এখনও সংকটজনক। তবে এই বয়সেও কঠিন লড়াই লড়ছেন তিনি। সহজে হাল ছাড়ছেন না। তার সুস্থতার জন্য সবাই প্রার্থনা করুন।
করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অক্টোবরের শুরুতেই ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে। কয়েকদিন পরই করোনামুক্ত হন তিনি। তার সঙ্গে দেখা করেন তার মেয়েও।
সে সময় ইশারায় কথা বলেন সৌমিত্র। তবে ধীরে ধীরে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। আংশিক ভেন্টিলেশনের পর সোমবার সম্পূর্ণ ভেন্টিলেশনে পাঠানো হয় তাকে।