বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রুপালি গিটার ফেলে দূরে, বহুদূরে

  •    
  • ১৮ অক্টোবর, ২০২০ ০০:২০

‘চলো বদলে যাই’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘ফেরারি মন’, ‘রুপালি গিটার’ তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে অন্যতম। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি তার রুপালি গিটার ছেড়ে চলে যান দূরে, বহুদূরে।

‘এই রুপালি গিটার ফেলে

একদিন চলে যাব দূরে, বহুদূরে

সেদিন চোখে অশ্রু তুমি রেখো

গোপন করে

মনে রেখো তুমি

কত রাত কত দিন

শুনিয়েছি গান আমি, ক্লান্তিবিহীন

অধরে তোমার ফোটাতে হাসি

চলে গেছি শুধু

সুর থেকে কত সুরে’

গানের কথাগুলো মনে পড়লেই যার কণ্ঠ ভেসে আসে তিনি আইয়ুব বাচ্চু। আজ ১৮ অক্টোবর তার দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী।

আমেরিকার বিখ্যাত ইলেকট্রিক গিটারিস্ট ও গায়ক জিমি হেন্ড্রিক্সের মতো গিটারের সুর আইয়ুব বাচ্চুর। নিউইয়র্কের ম্যাডিসন স্কয়ার গার্ডেনে পারফর্ম করা একমাত্র বাংলাদেশি শিল্পী তিনি।

১৯৬২ সালের ১৬ অগাস্ট চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ শিল্পীর প্রথম ব্যান্ড ছিল ‘আগলি বয়েজ’। ১৯৭৭ এ কলেজে পড়ার সময় ভোকালিস্ট হিসেবে কুমার বিশ্বজিৎকে নিয়ে আগলি বয়েজে লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।

সে সময়েই এক চায়ের দোকানে বসে গিটার বাজাচ্ছিলেন আইয়ুব বাচ্চু। তার গিটারের সুর ধরা দেয় ‘নগর বাউল’ জেমসের কাছে। জেমস তাকে নিজের ব্যান্ড ‘ফিলিংস’ (বর্তমানে নগর বাউল) এ লিড গিটারিস্ট হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দেন। তিনি সে প্রস্তাবে রাজী হন এবং পরবর্তী দুই বছর নগর বাউলের সাথে কাজ করেন।

১৯৮০ সালে নগর বাউলের এক শোতে ‘সোলস’ ব্যান্ডের নকিব খানের নজরে পড়েন আইয়ুব বাচ্চু। ‘সোলস’ এর সাথে তার দীর্ঘ যাত্রার শুরু তখন থেকেই। পরবর্তী দশ বছর তিনি সোলসের লিড গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন।

সোলসে থাকার সময় ১৯৮৭ সালে ‘মানুষ মাটির কাছাকাছি’ অ্যালবামে তার প্রথম গাওয়া গান প্রকাশ করা হয়। গানটির শিরোনাম ‘হারানো বিকেলের গল্প’।

সোলসে থাকাকালীন তিনি ‘রক্ত গোলাপ’ ও ‘ময়না’ নামে দুটি এ্যালবাম প্রকাশ করেন। 

সোলসের গানের ধরনের সঙ্গে আইয়ুব বাচ্চুর নিজস্ব গানের পছন্দের মিল ছিল না।

এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন বলেন, ‘মিউজিকের দুই ধরনের পছন্দের জন্য আমি সোলস ছাড়ি। ওদের এক রকম মিউজিক পছন্দ, আমার অন্য রকম। আমার পছন্দ রক, শক্তিশালী মিউজক, আর ওরা পছন্দ করতো হালকা, সুরেলা মিউজিক। আমি আর আপস করতে পারছিলাম না। আমাদের মধ্যে কখনো বড় কোনো সমস্যা হয়নি, তবে আমার মনে হয়েছে, আমার অন্য কিছু করাই ভালো হবে।’

নিজের মতো করে ১৯৯১ সালে একটি ব্যান্ড তৈরি করেন যেখানে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি কাজ করে গেছেন। এলআরবি নামে পরিচিত এ ব্যান্ডটির পুরো নাম ‘লাভ রানস ব্লাইন্ড’। এলআরবি সে বছরেই তাদের প্রথম কনসার্ট করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

১৯৯২ সালে এলআরবি ১ ও এলআরবি ২ নামে দুটি অ্যালবাম প্রকাশ করে। তাদের তৃতীয় অ্যালবাম ‘সুখ’- এ ছিল তার জীবনের সবচেয়ে জনপ্রিয় গান- ‘চলো বদলে যাই’।

আইয়ুব বাচ্চু আজম খানের ভক্ত ছিলেন। তার গানের কথাগুলো পশ্চিমা ব্যান্ড ‘ইগল’, ‘ডিপ পার্পল’, ‘পিঙ্ক ফ্লয়েড’ থেকে অনুপ্রাণিত। ইগল ব্যান্ডের ‘উইচি উইম্যান’ ও ‘হোটেল ক্যালিফর্নিয়া’ তার অন্যতম পছন্দের গান।

‘চলো বদলে যাই’, ‘এখন অনেক রাত’, ‘ফেরারি মন’, ‘রুপালি গিটার’ তার জনপ্রিয় গানগুলোর মধ্যে অন্যতম।

হৃদরোগসহ নানা রোগে আক্রান্ত এই শিল্পী ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর তার রুপালি গিটার ছেড়ে চলে যান দূরে, বহুদূরে।

এ বিভাগের আরো খবর