বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিনা নির্বাচনে ঢাবি শিক্ষক সমিতির নেতৃত্বে ফের নীলদল

  • প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ২ ডিসেম্বর, ২০২৩ ০০:১৬

শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়ে নীল দলের পুরো প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির ২০২৪ সালের কার্যকরি পরিষদের নির্বাচন বর্জন করেছে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। ফলে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় বিনা নির্বাচনেই জয়ী হয়েছে আওয়ামী লীগ সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।

শুক্রবার সন্ধ্যায় নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না পেয়ে নীল দলের পুরো প্যানেলকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

এ বিষয়ে ইকবাল রউফ মামুন বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটার মধ্যে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় ছিল। আমাদের কাছে ১৫টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল। সবই নীল দলের প্রার্থীদের। আর কোনো প্যানেল বা স্বতন্ত্র হিসেবে কেউই মনোনয়নপত্র জমা দেননি। যেহেতু নীল দলের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল না, আমরা তাদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছি।’

জয়ী হওয়ার ফলে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে পুনরায় দায়িত্ব পালন করবেন পুষ্টি ও খাদ্য-বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা। এ ছাড়া সহ-সভাপতির দায়িত্বে থাকবেন অধ্যাপক ড. মো. আব্দুস ছামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. মো. মিজানুর রহমান।

সদস্য হিসেবে থাকবেন অধ্যাপক ড. জিয়াউর রহমান, অধ্যাপক ড. আব্দুল বাছির, অধ্যাপক ড. শফিউল আলম ভূইয়া, অধ্যাপক ড. নেসার হোসাইন, অধ্যাপক ড. সীমা জামান, অধ্যাপক ড. জিল্লুর রহমান, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, অধ্যাপক ড. লাফিফা জামাল, অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমেদ এবং অধ্যাপক ড. সিকদার মনোয়ার মোর্শেদ। এই নেতারা আগামী এক বছর শিক্ষক সমিতির দায়িত্ব পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। দলটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, ‘সাদা দল গণতান্ত্রিক মূল্যবোধে বিশ্বাসী একটি পেশাজীবী সংগঠন। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্বাচনে বিশ্বাসী বলে দলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ফোরামের নির্বাচনে সবসময় অংশ নিয়ে আসছে। কিন্তু এবার বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় আসন্ন নির্বাচনে অংশগ্রহণের পরিবেশ অনুকূল বলে আমরা মনে করি না।’

লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমরা মনে করি, দেশে বিরাজমান পরিস্থিতিতে আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার চেয়ে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে পরিচালিত আন্দোলনের গুরুত্ব অনেক বেশি। আমরা চাই না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন শিক্ষক সমিতি নির্বাচিত হোক যেটি ভোটাধিকার হরণকারী অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিস্ট সরকারের হাতকে শক্তিশালী করবে।’

এ বিভাগের আরো খবর