শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবি) মামুলি বিষয় নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের নেতাকর্মীর মধ্যে হাতাহাতি ও হলের কক্ষ ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ক্যাম্পাসে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের দিকে ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল হুদা শুভ শাহপরাণ হলের ক্যান্টিন থেকে বের হচ্ছিলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক খলিলুর রহমানের অনুসারী শিপন হাসানের সঙ্গে নাজমুলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। তখন জুনিয়র এমন আচরণের কারণ জানতে চাইলে নাজমুল হুদাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেন শিপন।
এই ঘটনার জের ধরে শিপন পরে তার অনুসারী নেতা-কর্মীদের নিয়ে নাজমুল হুদার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর করেন। এতে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ সময় দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
সোমবার দুপুরে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরান হলের কক্ষ ভাংচুর করা হয়। ছবি: নিউজবাংলা
হাতাহাতি ও কক্ষ ভাঙচুরের ঘটনার পর চিকিৎসা নিতে শিপন হাসান ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে জানা যায়।
শাবি ছাত্রলীগ ছয়টি গ্রুপে বিভক্ত। এর মধ্যে একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন নাজমুল হুদা। তিনি অর্থনীতি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আর শিপন হাসান সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার বিষয়ে নাজমুল হুদা শুভ বলেন, ‘আমি ক্যান্টিন থেকে খাবার নিয়ে বের হওয়ার পথে শিপনের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এ সময় দেখে হাঁটতে বলায় সে আমার সঙ্গে বিতণ্ডায় জড়ায় এবং আমাকে আবারও ধাক্কা দেয়।
‘জুনিয়র হয়ে এমন আচরণ কেন করছে জানতে চাইলে সে আমাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। পরে শিপন ও তাদের গ্রুপের কর্মীরা আমার কক্ষে গিয়ে ভাঙচুর চালায়।’
ছাত্রলীগ কর্মী শিপন হাসান বলেন, ‘আমি ক্যান্টিনে যাচ্ছিলাম। তখন তিনি (নাজমুল) আমাকে ধাক্কা দেন। এরপর আমাকে চড় মারেন। ঘটনার পর কক্ষ ভাঙচুর কে করেছে তা জানি না। কারণ আমি তখন চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে চলে আসি।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. কামরুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘ঘটনাটি শোনার পর প্রভোস্ট ও প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত। পুরো ঘটনা জেনে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।’