বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাবিপ্রবিতে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪০   

  • প্রতিনিধি, দিনাজপুর    
  • ১৮ জুন, ২০২৩ ১২:২০

দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা যাতে করে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়টি দেখছে পুলিশ। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের ভেতরেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’ 

দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) পূর্বের দলীয় কোন্দলের জের ধরে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় দুই গ্রুপের ৪০ জন আহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে শনিবার রাত ৯টার দিকে দফায় দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের পর থেকে ক্যাম্পাসে ও বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে ২৩ জনকে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

হাসপাতালে ভর্তি আহত ২৩ জন হলেন ২৫ বছর বয়সী লাবিব হোসেন, ২৬ বছর বয়সী টিমন ঘোষ, ২৩ বছর বয়সী সাদিক, ২৫ বছর বয়সী ইসমাইল, ২৩ বছর বয়সী রায়হান, ২৫ বছর বয়সী সৌমিক, ২৫ বছর বয়সী সানি, ২৫ বছর বয়সী মোর্শেদ, ২৫ বছর বয়সী কামরুজ্জামান, ২৪ বছর বয়সী সাজিব, ২৫ বছর বয়সী সোহাগ, ২৪ বছর বয়সী সাব্বির, ২৫ বছর বয়সী শরিফ কবির, ২৫ বছর বয়সী নাফিক, ২৩ বছর বয়সী আশিক, ২৩ বছর বয়সী রাসেল, ২৩ বছর বয়সী ওয়াকিল, ২৫ বছর বয়সী সালে আহম্মেদ, ২২ বছর বয়সী প্রিয়, ২২ বছর বয়সী আকাশ, ২৫ বছর বয়সী শামসুল, ২৪ বছর বয়সী নিয়ামুল ও ২৪ বছর বয়সী রিপন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের রিয়াদ-সজল ও আকাশ গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরেই দলীয় কোন্দল চলে আসছিল। এরই জের ধরে শনিবার বিকেলে ছাত্রলীগ নেতা আকাশের সঙ্গে রিয়াদ ও সজলের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আকাশকে ক্যাম্পাস থেকে তারা বের করে দেন। পরে আকাশের সমর্থকরা ক্যাম্পাসের ভেতরে প্রবেশ করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। কয়েক দফার এই সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা জিয়া হলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়।

দিনাজপুর সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ মোহাম্মদ জিন্নাহ আল মামুন বলেন, ‘ক্যাম্পাসের আশেপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা যাতে করে বাইরে ছড়িয়ে না পড়ে সে বিষয়টি দেখছে পুলিশ। এ ছাড়াও ক্যাম্পাসের ভেতরেও পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

হাবিপ্রবির প্রক্টর প্রফেসর ড. মামুনুর রশিদ বলেন, ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

এ ব্যাপারে জানতে ছাত্রলীগ নেতা আকাশের মোবাইল ফোনে কল করা হলে মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। আর অন্য গ্রুপের সদস্যরা এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি।

এ বিভাগের আরো খবর