পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস. এম. এ. ফায়েজের সফর ঘিরে আয়োজিত ‘মতবিনিময় সভা’ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ নাম দেওয়া হলেও সভাটি ছিল একতরফা; কারও মতপ্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়নি। গত শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও বক্তব্য রাখেন কেবল ইউজিসি চেয়ারম্যান ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। নির্ধারিত সময় বিকেল ৩টার পরিবর্তে সভা শুরু হয় বিকেল ৪টায়।
সভায় প্রথমেই শিক্ষার্থীদের মতামত শোনার কথা থাকলেও বাস্তবে তাদের কেউই কথা বলার সুযোগ পাননি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে অষ্টম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী শিবলী আহমেদ বলেন, ‘এ রকম একপাক্ষিক মতবিনিময় সভা আমি জীবনে দেখিনি। আমাদের ক্যাম্পাসে অনেক সমস্যা আছে; কিন্তু কথা বলার সুযোগ দেওয়া হয়নি। প্রশাসনের উচিত ছিল নামটি ‘আলোচনা সভা’ রাখা।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনিয়ম-দুর্নীতির তথ্য প্রকাশ পেয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় কর্তৃপক্ষ কাউকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত সভা শেষ করে দেয়। সভা চলাকালীন কয়েকজন শিক্ষার্থী কথা বলতে চাইলে ইউজিসি চেয়ারম্যান আগ্রহ প্রকাশ করলেও প্রশাসন সময়-স্বল্পতার অজুহাত দেখিয়ে সভা শেষ করে দেন এবং চেয়ারম্যানকে নিয়ে দ্রুত মিলনায়তন ত্যাগ করেন। এতে হতাশ হয়ে ফিরে যান উপস্থিত শিক্ষার্থীরা।
এদিকে সভা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত সাংবাদিকরা ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে উপাচার্য নানা অজুহাতে তাদের বাধা দেন। অল্প কিছু প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পর সাংবাদিকদের মিলনায়তন ত্যাগ করতে হয়।
এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে পবিপ্রবিতে পৌঁছান ইউজিসি চেয়ারম্যান ড. এস. এম. এ. ফায়েজ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান উন্নয়ন প্রকল্প পরিদর্শন, শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং নবনির্মিত জিমনেশিয়াম উদ্বোধন করেন। এসব কার্যক্রম শেষে অনুষ্ঠিত হয় বহুল আলোচিত ওই ‘মতবিনিময় সভা’, যা শিক্ষার্থীদের চোখে পরিণত হয় এক ‘একতরফা আলোচনা সভাতে’।