জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার। তা চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত।
এ বছর মোট ১ হাজার ৮৮৪টি আসনের বিপরীতে ২ লাখ ৪৯ হাজার ১০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবেন। সে হিসাবে প্রতি আসনের বিপরীতে প্রার্থী রয়েছেন ১৩৬ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ভর্তি পরীক্ষার বিস্তারিত সময়সূচি জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, প্রথম দিন রোববার ‘সি’ ইউনিটভুক্ত কলা ও মানবিক অনুষদ এবং বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই ইউনিটে মোট ৪৬৬টি আসনের বিপরীতে ৫৩ হাজার ৪৩০ জন পরীক্ষা দেবেন।
সোমবার অনুষ্ঠিত হবে ‘বি’ ইউনিটভুক্ত সমাজবিজ্ঞান ও আইন অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা। এই ইউনিটের আসনসংখ্যা ৩৮৬। আবেদনকারীর সংখ্যা ৪৮ হাজার ৩৪৮ জন।
মঙ্গলবার ‘এ’ ইউনিটের আওতাধীন গাণিতিক ও পদার্থবিষয়ক অনুষদ এবং ইনস্টিটিউট অফ ইনফরমেশন টেকনোলজির ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ৩ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত ‘এ’ ইউনিটের বাকি ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষা হবে। ‘এ’ ইউনিটে ৪৬৬টি আসনের বিপরীতে মোট ৭৬ হাজার ৩৭৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবেন।
‘ডি’ ইউনিটভুক্ত জীববিজ্ঞান অনুষদের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বুধবার। পরদিন বৃহস্পতিবার প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শিফটে এই ইউনিটের বাকি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা হবে। ‘ডি’ ইউনিটে ৩২০ আসনের বিপরীতে আবেদনকারী ৮৭ হাজার ৭২৮ জন।
বৃহস্পতিবার চতুর্থ দফা থেকে ‘ই’ ইউনিটের অধীন বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ইনস্টিটিউট অফ বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ-জেইউ) পরীক্ষা হবে। এই ইউনিটে মোট আসন ২৫০টি। পরীক্ষা দেবেন ১৮ হাজার ৭২১ জন।
ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ভর্তি পরীক্ষার শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা কমিটির আহ্বায়ক এবং প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, ‘ভর্তি পরীক্ষার সময় ক্যাম্পাসে সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা বদ্ধপরিকর। মাঝে মাঝে কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে যায়। এবার তেমন ঘটনা যেন না ঘটে সেজন্য আমরা সর্বস্তর থেকে সহযোগিতা কামনা করছি।
‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকসহ সব অংশীজনকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম যেন ক্ষুণ্ণ না হয় সেদিকে সবাইকে নজর রাখতে হবে।’
ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে পরিচালনা করতে পরীক্ষা চলাকালে যানজট নিরসনে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ক্যাম্পাস সংলগ্ন প্রধান গেট, জয় বাংলা গেট ও বিশমাইল গেটে পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশের ব্যবস্থা, ডেইরি গেট থেকে মীর মশাররফ হোসেন হল গেট পর্যন্ত সন্ধ্যার পর থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত পুলিশি টহল, বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ব্যবস্থা ও ক্যাম্পাসে অনুমতিপ্রাপ্ত ব্যাটারিচালিত রিকশাগুলোকে আলাদা স্টিকার যুক্ত করে দেয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
এ ছাড়া ক্যাম্পাসের সার্বিক শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা রক্ষায় ১৫০ জন পোশাকধারী সশস্ত্র ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ ফোর্স এবং অতিরিক্ত ৬০ জন আনসার সদস্য ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করবেন।
ভর্তিচ্ছুদের সহায়তায় বিভিন্ন ভবনে ১২০ জন বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট সদস্য শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকবেন বলে জানানো হয়েছে।