বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লিখিত আশ্বাসে ৮ দিন পর অনশন ভাঙলেন জাবির প্রত্যয়

  • প্রতিনিধি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়   
  • ৮ জুন, ২০২৩ ১৫:৫৮

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হল প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলম স্বাক্ষরিত লিখিত আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পানি পান করে তিনি অনশন ভাঙেন।  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গণরুম বিলুপ্তসহ তিন দাবিতে অনশনকারী শিক্ষার্থী সামিউল ইসলাম প্রত্যয় আট দিন পর অনশন ভেঙেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে মীর মশাররফ হোসেন হল প্রাধ্যক্ষ সাব্বির আলম স্বাক্ষরিত লিখিত আশ্বাসের প্রেক্ষিতে পানি পান করে তিনি অনশন ভাঙেন।

এরপর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সামিউলকে তার জন্য বরাদ্দকৃত মীর মশাররফ হোসেন হলের ৪১৭ নম্বর কক্ষে পৌঁছে দেন প্রাধ্যক্ষ। একইসঙ্গে তার কক্ষে থাকা অছাত্র সবুজ রায়কে হলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বের করে দেয়া হয়।

প্রত্যয়ের লিখিত বিষয়গুলো ছিল হলের সকল কক্ষের শিক্ষার্থীদের আসন সংখ্যার হিসাব তালিকা তৈরি করা, হলের যে কক্ষগুলো ফাঁকা ১৫ দিনের মধ্যে প্রশাসনিকভাবে সেগুলো সিলগালা করা, হলের মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আসনগুলোতে বৈধ শিক্ষার্থীদের দেয়া, আগামী ৩০ দিনের মধ্যে হলের মেয়াদোত্তীর্ণ সকল শিক্ষার্থীকে হল ত্যাগে বাধ্য করা এবং প্রত্যেকটা কাজের আপডেট দেয়া। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যদি কাজগুলো করা না হয় তাহলে হল প্রাধ্যক্ষ পদত্যাগ করবে বলেও লিখিত দেয়া হয়।

এ বিষয়ে প্রত্যয় বলেন, ‘আমি সাত দিন ধরে আমার দাবিগুলো নিয়ে অনশন করেছি। আমার দাবি তিনটির কার্যক্রম শুরুর দৃশ্যমান রূপ আমি দেখতে চেয়েছিলাম। প্রাধ্যক্ষ স্যারের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। তিনি আমাকে গত কয়েক দিনের কার্যক্রম দেখিয়েছেন। তিনি এক মাস সময় নিয়েছেন। এ সময়ের মধ্যে তিনি দাবিগুলো বাস্তবায়ন করবেন। আর আমার দাবিগুলো যাতে রাজনৈতিক রূপ না নেয়, সেজন্য প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অনশন ভেঙেছি।’

এ বিষয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাব্বির আলম বলেন, ‘আজ সকালে সামিউল একজন সাংবাদিকের উপস্থিতিতে আলোচনার সাপেক্ষে অনশন ভেঙেছেন। তিনি এখন তার জন্য বরাদ্দ করা কক্ষে অবস্থান করছেন।’

প্রত্যয় গত মাসের ৩১ তারিখ রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনের খেলার মাঠে অনশনে বসেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (৪৯তম ব্যাচের) শিক্ষার্থী ও মীর মশাররফ হোসেন হলের আবাসিক ছাত্র। তার দাবিগুলো ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের অছাত্রদের হল থেকে বের করা, গণরুম বিলুপ্ত করা ও মিনিগণরুমে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের আসন নিশ্চিত করা।

এ বিভাগের আরো খবর