দুই দফায় অনলাইনে শিক্ষক বদলির আবেদন নেওয়ার পর আজ থেকে আবার শুরু হয়েছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনলাইন বদলির আবেদন, যা চলবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২৭ ডিসেম্বরই বদলিসংক্রান্ত আদেশ জারি করা হবে।
বুধবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ শিক্ষাবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অফ বাংলাদেশের (ইরাব) নেতাদের সঙ্গে সচিবালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অনলাইনে শিক্ষক বদলির আবেদনের কথা জানান।
এর আগে তিন বছর বন্ধ থাকার পর গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে অনলাইনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বদলির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে তখন নীতিমালা নিয়ে শিক্ষকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়ায় আবেদনের সময়সীমা বাড়িয়ে ৬ অক্টোবর করা হয়। এর মধ্যে নীতিমালা পরিবর্তনের দাবি করেন শিক্ষকরা। এতে প্রায় ২৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে আর এর মধ্যে ২৩ হাজার আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়।
গত ৩০ জুন গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অনলাইনে বদলি কার্যক্রমের পরীক্ষামূলক উদ্বোধন করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
কীভাবে আবেদন করা হবে
আবেদনকারীকে প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে (http://www.dpe.gov.bd) প্রবেশ করতে হবে। হোমপেজে থাকা 'অনলাইন শিক্ষক বদলি' লেখা বাটনে ক্লিক করলে নতুন একটি পাতা আসবে। পরবর্তী সময়ে সঠিক তথ্য দিয়ে ধাপে ধাপে কয়েকটি পেজ পূরণ করতে হবে।
অনলাইনে বদলি যেভাবে
বদলিপ্রত্যাশী শিক্ষক প্রথমে অনলাইনে বদলির আবেদন করবেন। এরপর তা প্রাথমিকভাবে যাচাই করবেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনিও আবেদনটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে যাচাই করে তা পাঠাবেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। তিনি সেটি যাচাই করে পাঠাবেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার (ডিপিইও) কাছে। ডিপিইও সেটি মঞ্জুর করে পাঠিয়ে দেবেন আবার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে। তিনি তখন বদলির বিষয়ে আদেশ জারি করবেন। এরপর শিক্ষক বদলির বিষয়টি অনলাইনেই জেনে যাবেন।
তিন ধাপের এই যাচাইয়ে প্রত্যেক দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তিন দিন করে সময় পাবেন। এই তিন দিনের মধ্যে যাচাই করে নিষ্পত্তি না করলে সেটি স্বয়ংক্রিয়ভাবেই যাচাইয়ের জন্য নিয়োজিত পরবর্তী ব্যক্তির কাছে চলে যাবে।