মহান বিজয় দিবস ঘিরে উচ্ছ্বাসে মেতেছে পুরো জাতি। এ উপলক্ষে রাজধানী জুড়ে ব্যাপক আলোকসজ্জা করা হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি অফিস ও স্থাপনা সেজেছে লাল-সবুজের আলোয়।
পিছিয়ে নেই পুরান ঢাকার অন্যতম শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । লাল-সবুজ আলোয় ঝলমল করছে পুরো ক্যাম্পাস। ঝলমলে রঙিন আলোয় প্রতিফলিত হচ্ছে বিজয়ের প্রতিচ্ছবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক, ফটকের দুপাশের দেয়াল থেকে শুরু করে শেষ প্রান্ত পর্যন্ত, নতুন একাডেমিক ভবন, একাত্তরের গণহত্যা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি ভাষ্কর্য, ভাষা শহীদ রফিক ভবন, অবকাশ ভবন সেজেছে সবুজ আলোয়। মাঝের প্রশাসনিক ভবন লাল আলোয় সাজানোয় ফুটে উঠেছে লাল-সবুজের পতাকার প্রতিচ্ছবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে আলোয় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা।
সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে ক্যাম্পাসে জ্বলে ওঠে লাল-সবুজ আলো। বিজয় দিবসকে বরণ করে নিতেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এই বর্ণিল সাজ। ক্যাম্পাসে ঘুরে ঘুরে বর্ণিল আলোকসজ্জা দেখে বেড়াচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। বিজয়ের উচ্ছ্বাসে মেতেছেন সবাই।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘১৬ই ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাস সাজানো হয়েছে। বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার আলোকে লাল-সবুজের প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে।’
বিজয়ের শুভেচ্ছা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কামালউদ্দীন আহমদ বলেন, ‘ক্যাম্পাসের বিভিন্ন ভবনে লাল-সবুজের আলো মেখে বিজয়ের আনন্দকে বরণ করে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। আমরা বিজয় দিবস উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি নিয়েছি।’
এছাড়া পুরান ঢাকার কবি নজরুল সরকারি কলেজের ক্যাম্পাসজুড়েও বাহারি রঙের ছড়াছড়ি। পুরো ক্যাম্পাস মেতেছে যেন বিজয়ের উল্লাসে। আলোকসজ্জায় রঙিন ক্যাম্পাস পরিণত হয়েছে একখণ্ড লাল-সবুজের পতাকায়।
পার্শ্ববর্তী সরকারি সোহরাওয়ার্দী কলেজ ক্যাম্পাসও পরিণত হয়েছে একখণ্ড লাল-সবুজের পতাকায়। আলোরও আছে নিজস্ব ভাষা। সে ভাষায় লাল-সবুজ মানেই প্রিয় বাংলাদেশ। তাই আলোয় এই দুই রঙের প্রভাবই একটু বেশি। তবে আনন্দের এই রঙিন শহরে ঠাঁই হয়েছে নীল-হলুদসহ বাহারি আলোর।