আগামী বছরের জন্য অনলাইনে স্কুলে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে ১৬ নভেম্বর থেকে। চলবে আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ভর্তির আবেদন ফি ১১০ টাকা, পরিশোধ করতে হবে রাষ্ট্রীয় মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটকের মাধ্যমে। আর লটারির ফল প্রকাশ করা হবে ১০ ডিসেম্বর (সরকারি) ও ১৩ ডিসেম্বর (বেসরকারি)।
এর আগে ২০২১ ও ২০২২ সালে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তি অনলাইন ও লটারির মাধ্যমে করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় সরকারি ও বেসরকারি (মহানগর, জেলা সদর ও উপজেলা সদর পর্যায়) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ভর্তি বিষয়ক প্রস্তুতিমূলক সভার কার্যবিবরণী থেকে এসব তথ্য জানা যায়। বিষয়টি এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায়।
এই বিষয়ে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ নিউজবাংলাকে বলেন, ভর্তি বাণিজ্য ও অসুস্থ প্রতিযোগিতা বন্ধ করার জন্য লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি নেয়া হচ্ছে। আগামী শিক্ষাবর্ষেও লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলে শিগগিরই ভর্তি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।
প্রতিবারই বছরের শেষ সময়ে এসে পরবর্তী বছরের ভর্তির প্রক্রিয়া চলে। ভর্তি শেষে জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হয়। আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিদায়ী শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয়গুলোতে সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়।
মাউশি থেকে জানা যায়, সরকারি বিদ্যালয়ের আবেদনের ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগরের ৪৪টি সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় তিনটি ভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত থাকবে। আবেদনের সময় একজন শিক্ষার্থী একটি গ্রুপের পাঁচটি বিদ্যালয় নির্বাচন করতে পারবে। এখান থেকে লটারির মাধ্যমে একটি বিদ্যালয় নির্বাচন করা হবে।
ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না। আর ঢাকা মহানগরীর বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানসংলগ্ন কমপক্ষে একটি এবং সর্বোচ্চ তিনটি প্রশাসনিক থানা ক্যাচমেন্ট এরিয়া হিসেবে নির্ধারণ করা যাবে।
এ ছাড়া, আবেদনকারীরা আবেদনের সময় প্রতিষ্ঠান নির্বাচনকালে মহানগর পর্যায়ের জন্য বিভাগীয় সদরের মেট্রোপলিটন এলাকা এবং জেলা সদরের সদর উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা পাবে। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীরা প্রাপ্যতার ভিত্তিতে প্রতিটি আবেদনে সর্বোচ্চ পাঁচটি বিদ্যালয় পছন্দের ক্রমানুসারে নির্বাচন করতে পারবে। ডাবল শিফটের প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে উভয় শিফট পছন্দ করলে দুটি পছন্দক্রম সম্পন্ন হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। একই পছন্দক্রমের বিদ্যালয় কিংবা শিফট দ্বিতীয়বার পছন্দ করা যাবে না।