আওয়ামী লীগ যে রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে চলছে তা আদর্শভিত্তিক, আর অন্যরা যে রাজনীতি করছে তা নেতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
বুধবার জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির আয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র: পেছন ফিরে দেখা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ যে রাজনীতি নিয়ে এগিয়ে চলছে তা আদর্শভিত্তিক, আর অন্যরা যে রাজনীতি করছে তা নেতিবাচক। অসহ্য মিথ্যাচার, মারামারির যে রাজনীতি করে, তা আমার কাছে রাজনীতি মনে হয় না। বঙ্গবন্ধু মানুষের বাইরে কিছু বুঝতেন না। তিনি ক্ষমতায় আসতে চেয়েছিলেন মানুষের জন্য।’
তিনি বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙালি পরিচিত হয়েছিল মুজিবের মানুষ হিসেবে। যুদ্ধও পরিচালিত হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর নামে। বিশ্ব মুক্তিযুদ্ধের সময় সাহায্য করেছিল মুজিবের নামে। তখন যারা বাংলাদেশকে চিনত না, তারা এ দেশকে মুজিবের দেশ হিসেবে জানত।’
দীপু মনি বলেন, ‘বাংলাদেশে এমন অঞ্চল পাবেন না যেখানে বঙ্গবন্ধু যাননি। প্রত্যেক অঞ্চলের মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল বঙ্গবন্ধুর। বঙ্গবন্ধু নিজের জীবনের মায়া কখনও করেননি। ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি, কারণ ওই যে ইতিহাসবোধ।
‘তিনি জানতেন পাকিস্তানিরা যুদ্ধ চাপিয়ে দেবে। এ জন্যই উনি ভাষণে কী করতে হবে বলে দিয়েছেন, কিন্তু স্বাধীনতার ঘোষণা দেননি। যখনই গণহত্যা চাপিয়ে দেয়া হলো, তখনই বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।’
মন্ত্রী বলেন, ‘শেখ মুজিবকে আমাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সাড়ে তিন বছরের যে কাজ তাই তার হত্যার কারণ। কী পরিমাণ হিংস্রতা ছিল যে ১৮টি গুলি করতে হয়েছে একজন মানুষকে। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, পরিবারকে নিশ্চিহ্ন করতে এ হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে।
‘হত্যাকারীদের হিংস্রতা, ঘৃণা এখনও আছে বলেই ২১ বার বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা চেষ্টা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ অপরাজনীতি, রক্তশোষণ চায় না, বৈষম্য চায় না, চায় অসাম্প্রদায়িক দেশ। বঙ্গবন্ধু রাজস্বী। তিনি আমাদের হৃদয়ে আছেন। বঙ্গবন্ধু বিশ্বময়, যেমন তিনি ’৭১-এ ছিলেন।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সহসভাপতি অধ্যাপক মো. ছিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ইমদাদুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামালউদ্দীন আহমদ।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন, প্রবন্ধের ওপর মুখ্য আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মো. সেলিম।